Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘নিরাপত্তা জোরদার করলে নুসরাতের হামলা এড়ানো যেত’


১২ এপ্রিল ২০১৯ ১৩:৩৬

ফেনী: স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন নিরাপত্তা জোরদার করলে ৬ এপ্রিল নুসরাত জাহান রাফির শরীরে আগুন দেওয়ার ঘটনা এড়ানো যেত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিলের পরিচালক ফাইজুল কবির।

তিনি বলেন, ২৭ মার্চ নুসরাতকে যৌন হয়রানির পর মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন যদি নুসরাতের নিরাপত্তা জোরদার করত, তাহলে ৬ এপ্রিলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটত না।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে ফেনীতে নুসরাতের বাড়িতে পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন- নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা: নুর উদ্দিনকে ময়মনসিংহ থেকে গ্রেফতার

ফাইজুল কবির আরও বলেন, মাদরাসার শিক্ষক ও অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের জিজ্ঞাসার মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি, ছাদের ওপর আগ থেকেই দুর্বৃত্তরা ওঁৎ পেতে অপেক্ষা করছিল। পুলিশ তৎপর হলে এসব ঘটনা আগেই এড়ানো যেত।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে মানবাধিকার কাউন্সিলের পরিচালকের সঙ্গে ছিলেন উপউরিচালক এম রবিউল ইসলাম ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন- থানার ভেতরে নুসরাতের ভিডিওধারণ সাইবার ক্রাইম, বললেন আইনজীবীরা

উল্লেখ্য, নুসরাতকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে তার মায়ের দায়ের করা মামলায় গত ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে কারাগার থেকেই তিনি মামলা তুলে নেওয়ার জন্য নুসরাতের পরিবারকে চাপ দিতে থাকেন। এর মধ্যে গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষার কেন্দ্রে গেলে মাদ্রাসার ছাদে ডেকে নিয়ে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে পালিয়ে যায় মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। পরিবারের অভিযোগ, নুসরাতের পরিবার মামলা তুলে নিতে রাজি না হওয়ার কারণেই নুসরাতকে এই পরিণতি বরণ করতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, আগুনে নুসরাতের শরীরের ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। এ অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে, সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। সেখানে বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের ৯ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য সিংগাপুরেও নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু তার শরীর দীর্ঘ বিমানযাত্রার উপযোগী না থাকায় ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে সিংগাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করে চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল চিকিৎসা। শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টাকে বিফল করে দিয়ে বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমান নুসরাত। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে দাদীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।

সারাবাংলা/আরএ/টিআর

নুসরাত নুসরাত হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর