কেমিক্যাল প্রতিরোধে আমবাগানে ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে থাকবে পুলিশও
১৬ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৫৮
ঢাকা: রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বড় বড় আমবাগানগুলোতে কেমিক্যালের ব্যবহার রোধে সাতদিনের মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকেও তদারকি করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এছাড়া মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) হাইকোর্টের এ আদেশ স্থগিত চেয়ে চেম্বার আদালতে করা আবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষ।
এক আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৯ এপ্রিল বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দিয়েছিলেন।
নিরাপদ আম নিশ্চিতে বাস্তবায়ন হচ্ছে না হাইকোর্টের আদেশ
এ আদেশের বিরুদ্ধে গতকাল ১৫ এপ্রিল আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। আজ ওই আবেদনটি শুনানির জন্য চেম্বার বিচারপতির কার্যতালিকায় ছিল। পরে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আবেদনটি প্রত্যাহার করার আবেদন করলে আদালত উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দেন চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান।
এ বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার বলেন, ‘হাইকোর্ট তার আদেশে বলেছেন, একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আমবাগানগুলো তত্ত্বাবধায়ন করবেন। যাতে কেউ আম পাকানো বা সংরক্ষণের জন্য কেমিক্যাল ব্যবহার করতে না পারে।
মেসেঞ্জার-ইনবক্সে খবর জানাবে সারাবাংলা News BOT
তিনি বলেন, হাইকোর্টের এ আদেশটি স্থগিত চেয়ে আমরা আপিল বিভাগে একটা আবেদন করেছিলাম। কিন্তু আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি এর সঙ্গে সিটি করপোরেশন আইন, খাদ্য সংরক্ষণ আইন এবং পরিবেশ বিষয়ক আইনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে। এমনকি সরকারও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আন্তরিক এ কারণে আমরা আবেদনটি প্রত্যাহা করে নিয়েছি।
গত ৯ এপ্রিল হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছিলেন, আদেশে একটি পর্যবেক্ষণ টিম ফলের বাজার ও গুদাম মনিটর করবে যাতে সারাদেশে কেউ কেমিক্যাল ব্যবহার করে আম পাকাতে না পারে। পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই-এর পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং) এ আদেশ বাস্তবায়ন করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে।
আবেদনে বিবাদীরা হচ্ছেন- শিল্প সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, খাদ্য সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বিএসটিআই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক, র্যাবের মহাপরিচালক, বিএসটিআই-এর পরিচালক (কেমিক্যাল টেস্টিং উইং), রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি এবং এনবিআর চেয়ারম্যান।
ওইদিন রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, এক আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি আমবাগানের বিষয়ে সাতদফা নির্দেশনা দিয়ে হাইকোর্ট রায় দেন। কিন্তু হঠাৎ করে আমরা দেখছি গত বছরের কেমিক্যাল ব্যবহারের প্রবণতা। এ কারণে পুনরায় আবেদন করেছি ফের নির্দেশনাটা দেওয়ার জন্য।
সারাবাংলা/এজেডকে/এমআই
আরও পড়ুন: আম বাগানে পুলিশি পাহারার নির্দেশ হাইকোর্টের