শ্রীলংকায় বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস
২৩ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:৩১
শ্রীলংকায় চার গির্জা, তিন হোটেল ও এক বাড়িতে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস। রোববার (২১ এপ্রিল) খ্রিস্টানদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টার সানডেতে দেশটির বিভিন্ন জায়গায় এইসব হামলা চালানো হয়। খবর দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের।
রোববার হামলা হলেও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো দল বা গোষ্ঠী হামলাগুলোর দায় স্বীকার করেনি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, দেশটির কট্টরপন্থি মুসলিম সংগঠন ন্যাশনাল তৌহিদ জামাত (এনটিজে) এই হামলা চালিয়ে থাকতে পারে। কেননা, হামলার দশদিন আগে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাকে উদ্ধৃত করে শ্রীলংকার পুলিশ প্রধান পুজুথ জয়সুন্দর এমন সতর্কতা দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন- শ্রীলংকায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩২১, গ্রেফতার ৪০
তবে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) নিজস্ব বার্তা সংস্থা আমাক’এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামলাগুলোর দায় স্বীকার করেছে আইএস।
উল্লেখ্য, সবমিলিয়ে রোববারের আট বোমা হামলায় অন্তত ৩২১ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন পাঁচ শতাধিক।
‘শ্রীলংকায় বোমা হামলা ক্রাইস্টচার্চ হামলার প্রতিশোধ’
মঙ্গলবার শ্রীলংকার প্রতিরক্ষা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বিজেবর্ধন জানিয়েছেন, রোববার বিভিন্ন স্থানে সিরিজ বোমা হামলা নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে বন্দুক হামলার প্রতিশোধ। প্রাথমিক তদন্তে এমনটাই প্রতীয়মান হয়েছে।
বিজেবর্ধন শ্রীলংকার পার্লামেন্টে এই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি)। খবর ফক্স নিউজের।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, উগ্রপন্থী ইসলামী সংগঠনগুলো ক্রাইস্টচার্চ হামলার বদলা হিসেবে শ্রীলংকায় হামলা চালিয়েছে।
তবে তিনি তার মন্তব্যের কোনো প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।
হামলার পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে
এদিকে, হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪০ জনকে গ্রেফতার করেছে শ্রীলংকা পুলিশ। এদের সবাই শ্রীলংকান। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলাকারীরা সবাই শ্রীলংকান হলেও, হামলাগুলোর পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
শ্রীলংকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজিথা সেনারত্ন বলেন, আমাদের বিশ্বাস, কেবল এই দেশে অবস্থানকারী মানুষের একটি দল এই হামলাগুলো চালায়নি। এর পেছনে আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক জড়িত ছিল। অন্যথা তারা সফল হতে পারতো না।
আরও পড়ুন- শ্রীলংকায় মধ্যরাত থেকে জারি হচ্ছে জরুরি অবস্থা
গ্রেফতার হওয়া ৪০ জনের মধ্যে হামলায় ব্যবহৃত একটি গাড়ির মালিক ও একটি বাড়ির মালিক রয়েছে। ওই বাড়িতে হামলাকারীদের কয়েকজন বাস করতো।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে শ্রীলংকায় জরুরি অবস্থা জারি রয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে সামরিক বাহিনী।
মঙ্গলবার স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, কেউ যদি রাস্তায় কোনো গাড়ি পার্ক করে রেখে যায় তাহলে গাড়ির সামনের কাঁচে মালিকের মোবাইল নম্বর লিখে যেতে হবে।
অন্যদিকে, ডাক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে কোনো মোড়কজাত কোনো পার্সেল গ্রহণ করবে না।
সারাবাংলা/আরএ