Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজাকার মাহবুবের বিরুদ্ধে রায় যে কোন দিন


২৪ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:৫৪

ফাইল ছবি

ঢাকা: কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা রণদা প্রসাদ সাহা ও তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহাকে একাত্তরে অপহরণ ও হত্যার অভিযোগের মামলায় মাহবুবুর রহমানের (মাহবুব) বিরুদ্ধে  যে কোন দিন রায়  ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক শেষে মামলা রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন।

বিজ্ঞাপন

ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত। অন্যদিকে আসামীপক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।

পরে প্রসিকিউটর রানা দাশ গুপ্ত সাংবাদিকদের বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এ আসামির বিরুদ্ধে গণহত্যাসহ তিনটি অভিযোগ ছিল। সবগুলো অভিযোগ প্রমাণে আমরা সক্ষম হয়েছি। আশা করছি আদালত আসামী মাহবুবকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেবেন।

রানা দাশ গুপ্ত জানান, ৬৯ বছর বয়সী মাহবুব একাত্তরে মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি বৈরাটিয়া পাড়ার আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। আসামি মাহবুব ও তার ভাই আব্দুল মান্নান রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন। মাহবুব একসময় জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ছিলেন বলেও তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ।

২০১৬ সালের ১৮ এপ্রিল মামলাটির তদন্ত শুরুর পর ট্রাইব্যুনাল থেকে পরোয়ানা জারি হলে ওই বছরের নভেম্বরে মাহবুবকে গ্রেফতার করা হয়। এখন গাজীপুরের কাশিমপুরের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি।

২০১৮ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি এ মামলার অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের জন্য ওই বছরের ১১ মার্চ দিন ঠিক করে দেন। এরপর ২৮ মার্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে দীর্ঘদিন এ মামলার শুনানি শেষে আজ যুক্তিতর্ক শেষ হয়। এ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তাসহ ১৩ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

২০১৭ সালের ২ নভেম্বর টাঙ্গাইলের মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করে প্রসিকিউশনে প্রতিবেদন দাখিল করে তদন্ত সংস্থা।

তদন্তে মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অপহরণ, হত্যা, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের অভিযোগে বলা হয়, আসামি মাহবুবুর রহমানের বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মুক্তিযুদ্ধের সময় মির্জাপুর শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। আসামি মাহবুবুর রাহমান ও তার ভাই আব্দুল মান্নান সে সময় রাজাকার বাহিনীতে ছিলেন।

আসামি মাহবুবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মে মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ২০-২৫ জন সদস্যকে নিয়ে রণদা প্রসাদ সাহার বাসায় অভিযান চালায়।

সেই অভিযানে রণদা প্রসাদ সাহা, তার ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা, রণদা প্রসাদের ঘনিষ্ঠ সহচর গৌর গোপাল সাহা, রাখাল মতলব ও রণদা প্রসাদ সাহার দারোয়ানসহ ৭ জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে সবাইকে হত্যা করে লাশ শীতলক্ষা নদীতে ফেলে দেয়। তাদের লাশ আর পাওয়া যায়নি।

অভিযোগে আরও বলা হয়,মুক্তিযুদ্ধের সময় আসামি টাঙ্গইলের মির্জাপুরের ভারতেশ্বরী হোমসের আশপাশের এলাকা, নারায়ণগঞ্জের খানপুরের কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ও তার আশপাশের এলাকা এবং টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজ এলাকায় অপরাধ সংগঠন করে।

রণদা প্রসাদ সাহার পৈত্রিক নিবাস ছিল টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে। সেখানে তিনি একাধিক শিক্ষা ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।

এক সময় নারায়ণগঞ্জে পাটের ব্যবসায় নামেন রণদা প্রসাদ সাহা। থাকতেন নারায়ণগঞ্জের খানপুরের সিরাজদিখানে। সে বাড়ি থেকেই তাকে, তার ছেলে ও অন্যান্যদের ধরে নিয়ে যায় আসামি মাহবুবুর রহমান ও তার সহযোগীরা।

ফাইল ছবি

সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ

ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধ রাজাকার সাজা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর