ফণী সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা হয়ে উত্তর পূর্ব দিকে এগুচ্ছে
৪ মে ২০১৯ ০৮:৪৫
ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ফণী সকাল ৬টা থেকে উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সাতক্ষীরা, যশোর ও খুলনা অঞ্চল এবং এদের পাশ্ববর্তী এলাকা অতিক্রম করছে। ধীরে ধীরে এটি উত্তর ও উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ফণী শনিবার সারাদিনই বাংলাদেশের মধ্যে অবস্থান করবে এবং বিকেল নাগাদ আরও দুর্বল হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে। তবে, ঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিসহ সারাদেশে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকবে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং সারাদেশে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
বরগুনায় ঘরচাপায় দাদি-নাতির মৃত্যু
শনিবার সকাল ৮টায় সবশেষে দেওয়া বুলেটিনে এমন তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।
আবহাওয়া অধিদফতরের বুলেটিনে আরো জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৬২ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি. মি. পর্যন্ত বাড়ছে। সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
দেশে ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা থাকতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী
ফণী ভারতের উড়িষ্যার উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানার পর থেকে ক্রমাগত স্থলভাগে অবস্থান করায় শক্তি কমতে থাকে। এই কারণে বাংলাদেশের উপর শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারে নি।
ঝড়টি খুলনা বিভাগের উত্তর অংশ দিয়ে প্রবেশের পর সিলেট বিভাগ হয়ে বাংলাদেশে ত্যাগ করতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে বন্যার আশঙ্কা
দেশের মধ্যে স্থানভেদে দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কি.মি. থেকে ১১০ কি. মি. পর্যন্ত হতে পারে। উপকূলের দিকে এই গতিবেগ আরো বেশী থাকবে। তবে, চট্টগ্রাম বিভাগের দক্ষিণ অংশে প্রভাব কম থাকবে।
ফণীর প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
সারাবাংলা/টিএস/জেএএম