বিজ্ঞাপন

ফণী: বরগুনার ৩৩৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে হাজারো মানুষ

May 4, 2019 | 6:33 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

ঘূর্ণিঝড় ফণীর হাত থেকে রক্ষা পেতে বরগুনার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রাত কাটিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। জেলার ৩৩৫ টি আশ্রয়কেন্দ্র ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, শুকনো খাবার নিয়ে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন। অনেকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন গবাদি পশুও।

বিজ্ঞাপন

বরগুনা সদর উপজেলার পোটকাখালী, বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, ঢলুয়াসহ বেশ কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, আশ্রয় নিতে আসা অধিকাংশই নারী, শিশু ও বৃদ্ধ। আশ্রয়কেন্দ্রের নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদারকির ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, বরগুনার বলেশ্বর বিষখালী ও পায়রা তিনটি নদের পানি বিপদসীমার ২৫ সেমি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, জোয়ারের সময় অন্তত স্বাভাবিকের চেয়ে চার ফুট উচ্চতায় এসব নদের পানি প্রবাহিত হতে পারে।

পাউবো বরগুনা কার্যালয়ে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হান্নান প্রধান জানান, জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরে কিছু অংশ প্লাবিত হলেও তা লোকালয়ে প্রবেশের সম্ভাবনা নেই। কিছু কিছু এলাকায় বাঁধ নড়বড়ে ছিল, আমরা দ্রুত এসব বাঁধ সংস্কার করেছি। ঝড়ের গতিবেগের ওপর বাকিটা নির্ভর করছে।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া, বরগুনার জেলা প্রশাসনসহ ছয়টি উপজেলায় কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমরা সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছি। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিবি) রেড ক্রিসেন্টসহ ইউনিটের সবাই প্রস্তুত রয়েছে।

তিনি আরও জানান, এছাড়াও দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে চিকিৎসক দল। পর্যাপ্ত শুকনো খাবার ও পানি, ওরস্যালাইন প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ও ওষুধ মজুদ রাখা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনএইচ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন