ফণীর ক্ষয়ক্ষতি পূরণে সরকারই যথেষ্ট: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
৪ মে ২০১৯ ১৪:৫৬
ঢাকা: অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে বাংলাদেশে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে সরকারই যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। তিনি বলেছেন, এই ক্ষতিপূরণ দিতে অন্য কোনো রাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চাওয়ার প্রয়োজন হবে না।
শনিবার দুপুরে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ফণীর সবশেষ অবস্থা বিষয়ক এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ফণী নিয়ে বিপদ কেটে গেছে, আর কোনো শঙ্কা নেই।
নিম্নচাপে পরিণত ফণী, বিপদ সংকেত নামিয়ে সতর্ক সংকেত
ডা. মো. এনামুর রহমান জানান, সারাদেশে ফণীর কারণে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে দুইজন ঘরচাপা পড়ে ও দুইজন গাছচাপা পড়ে মারা গেছেন। মোট আহতের সংখ্যা ৬৩ জন। দেশের ১৬ লাখ ৪০ হাজার ৪১৭ জন মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের বিকেল ৪টার পরে বাড়ি ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতি যা হয়েছে তার ক্ষতিপূরণ দিতে বাংলাদেশ সরকারই যথেষ্ট। এজন্য কোনো রাষ্ট্রের কাছে সাহায্য চাওয়ার প্রয়োজন হবে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ আছে কেউ যেন সাহায্য পাওয়া থেকে বাদ না যায়। সে অনুযায়ীই কাজ চলছে। নিহতদের প্রত্যেকের পরিবারকে দাফনের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ২০ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। যাদের বাড়ি ঘরের ক্ষতি হয়েছে তাদের সেগুলো তৈরি করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
সবমিলিয়ে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্ষতির সঠিক তথ্য আসতে আরও ২৪ ঘণ্টা সময় লাগবে। সমুদ্রে সাত নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
দেশ ভালো অবস্থায় আছে জানিয়ে ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘গত ২৪ তারিখ থেকে এই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিলো। আশা করেছিলাম একটা প্রাণহানিও হবে না। যারা মারা গেছে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে না যাওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে স্বেচ্ছাসেবকরা তৎপর রয়েছেন। খাদ্য, পানি, শুকনো খাবার ইত্যাদি পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে মেডিকেল টিম তৎপর আছে। কোনো দূর্যোগ এসে এখন আর বাংলাদেশকে কাবু করতে পারবে না।’
ফণী এখন সাধারণ ঝড়, সন্ধ্যায় ছাড়বে বাংলাদেশ
এসময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য মজুদ আছে। কোনো ঘাটতি নেই। ফলে এই দুর্যোগের পর খাদ্যের কোনো ঘাটতি দেখা দেবে না।
ব্রিফিংয়ে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ফণী মোকাবিলায় মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সম্পৃক্ত ছিলেন। তারা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করেছেন। ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান সঠিকভাবে তারা নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন বলে সচিব আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গাদের বিষয় নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন। আমরাও তৎপর ছিলাম বলে তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এসএমএন