বিএসএমএমইউতে ৫৩৯ রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন
৫ মে ২০১৯ ০১:২৫
ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এ পর্যন্ত ৫৩৯ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে, ৯৫ শতাংশ কমপক্ষে ১ বছর, ৮২ শতাংশ কমপক্ষে ৫ বছর এবং ৭৮ শতাংশ কমপক্ষে ১০ বছর পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন বা বেঁচে রয়েছেন। আর কিডনি দাতাদের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৬০ শতাংশ ও পুরুষের সংখ্যা ৪০ শতাংশ।
শনিবার (৪ মে) ‘প্রোসপেক্ট অব রেনাল ট্রান্সপ্ল্যানটেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক প্রবন্ধ উপস্থাপন করে এসব কথা জানান ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল। প্রবন্ধে তিনি আরও জানান, কিডনিদাতাদের বেশিরভাগের বয়স ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে যা কিনা শতকরা ৩৩ দশমিক ৮ শতাংশ। আর এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনে খরচ হয় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা থেকে প্রায় ২ লাখ টাকা।
প্রবন্ধে তিনি আরও বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত দেশে মোট এক হাজার ৭৬০ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এরমধ্যে চলতি বছরের এপ্রিলে হয়েছে ৪০ জন রোগীর। এছাড়াও ২০০৮ সালে ১১৬, ২০০৯ সালে ১৪২, ২০১০ সালে ১৫৭, ২০১১ সালে ১১৪, ২০১৩ সালে ১৪৫, ২০১৪ সালে ১৩৮, ২০১৬ সালে ১২২, ২০১৭ সালে ১৪৫ এবং ২০১৮ সালে ১৩০ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয়।
এরমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৩৯ জন, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে ৫২৯ জন, কিডনি ফাউন্ডেশনে ৪৬২ জন ও বারডেমে ১১৫ জন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন হয়।
কিডনি অকার্যকর হবার কারণ হিসেবে সংক্রামক ব্যাধি ছাড়াও ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ কিডনি অকার্যকারিতার অন্যতম কারণ হিসেবে জানান অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, কিডনি সুস্থ রাখতে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ভেজাল খাবার অবশ্যই প্রতিরোধ করতে হবে। ব্যাথা-নাশক ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া যাবে না। যেকোনো সংক্রমণ হলে বা শরীরে ইনফেকশন শুরু হলে শুরুতেই চিকিৎসা নেয়াসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হতে হবে।
সারাবাংলা/জেএ/এনএইচ