কারাগারে অগ্নিদগ্ধ আইনজীবীর মৃত্যু, তদন্তের নির্দেশ
৮ মে ২০১৯ ১২:২১
ঢাকা: পঞ্চগড়ে কারাগারে অগ্নিদগ্ধের পর হাসপাতালে আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের (৩৬) মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আইনজীবী পলাশের নিরাপত্তা দিতে কারা কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী ২৩ জুন এ বিষয়ে পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ঠিক করেছেন র আদালত।
আদালত আদেশে পঞ্চগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আরও একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়ে তদন্ত করতে বলেছেন। এ তদন্ত কাজে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলেছেন আদালত।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়্যেদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোখলেছুর রহমান।
পরে আইনজীবী সায়্যেদুল হক সুমন সাংবাদিকদের বলেন, আইনজীবী পলাশের মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করি। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ এ আদেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এ সময় আদালত বলেছেন, এ ব্যক্তি যদি আত্মহত্যা করে থাকেন, তাহলে সেটিও বের হয়ে আসা দরকার। কারাগারের মধ্যে গায়ে আগুন দেওয়ার মত পদার্থ তিনি কোথায় পেলেন। সেটিও বের হয়ে আসা উচিত।
পঞ্চগরের কারাগারে আইনজীবীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গত ৬ মে রিট দায়ের করেন আইনজীবী সুমন। এই রিটে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত আইনজীবী পলাশ আটোয়ারি উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বড়সিংগিয়া গ্রামের প্রণব কুমার রায়ের ছেলে
জানা যায়, তার বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠানেরর করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৫ মার্চ দুপুরে মানববন্ধন করার সময় প্রধানমন্ত্রীর নামে পলাশ কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাজীব রানা নামে এক তরুণ তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন। তাকে আটক করে ২৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৬ এপ্রিল কারা হাসপাতালের বাথরুমে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলাশ মারা যান।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেডএফ