Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইয়াংগুনে দুর্ঘটনা: উড়োজাহাজ সংকটে শিডিউল বিপর্যয়


১০ মে ২০১৯ ১৬:২৬

বিমানের একটি উড়োজাহাজ (ফাইল ছবি)

ঢাকা: মিয়ানমারের ইয়াংগুনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটি। উড়োজাহাজ সংকটের কারণে গত পাঁচদিনে মোট ১১টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার (৮ মে) রাতে ইয়াঙ্গুনে ড্যাশ-৮ দুর্ঘটনার পর থেকে গতকাল পর্যন্ত চারটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। এছাড়া আগামী তিনদিনে (শুক্র-শনি ও রোববার) সৈয়দপুর, যশোর, রাজশাহী রুটের আরও সাতটি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এসব রুটে ছোট এয়ারক্রাফট না থাকায় বিমান কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটগুলো বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে। এখন কোনো ছোট এয়ার ক্রাফট নেই যেটি দিয়ে এ সব রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। এ সব রুটে বড় এয়ার ক্রাফট নেওয়ারও সুযোগ নেই।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, ফ্লাইট শিডিউল বিপর্যয় কাটানোর জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কলকাতাতে ড্যাশ-৮ এর মতো ছোট এয়ারক্রাফটের বদলে বড় এয়ারক্রাফট দেওয়া যাবে। কারণ সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে বড় বোয়িং ৭৭৭, ৭৩৭ ও ৭৮৭ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হয়। সুতরাং এ সব রুটে বড় এয়ার ক্রাফট ব্যবহার হলে শিডিউল জটিলতা কিছুটা কমবে। এছাড়া নতুন একটি এয়ার ক্রাফট যোগ হওয়ার কথা রয়েছে চলতি সপ্তাহেই। সেটি এলে উড়োজাহাজ সংকট মোকাবিলায় সুবিধা হবে।

জানা যায়, প্রতিবছর ঈদের সময় অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, রাজশাহী, বরিশাল, যশোর, সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে তিনটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ এবং সিলেট, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার রুটে বড় বোয়িং ৭৮৭, ৭৭৭ ও ৭৩৭ উড়োজাহাজ ব্যবহার করা হয়। তবে উড়োজাহাজ নিয়ে সংকট তৈরি হওয়ায় এবার সম্ভাব্য অতিরিক্ত ফ্লাইট পরিচালনাও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ বলেন, অভ্যন্তরীণ রুট ছাড়া আন্তর্জাতিক রুটে কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি। তবে বিমানের শিডিউলে যে জটিলতা রয়েছে তা আগামী ১৩ মে থেকে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

শাকিল মেরাজ জানান, শুক্রবার (১০ মে) রাতে বিমানবহরে যোগ হচ্ছে পঞ্চম বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ। এটি এলেই উড়োজাহাজ দিয়ে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেটের মতো বড় রানওয়ে যেখানে রয়েছে সেখানে ফ্লাইট পরিচালনা করা যাবে। তখন আর অসুবিধা হবে না। বাকি ছোট দুই এয়ার ক্রাফট দিয়ে রাজশাহী, সৈয়দপুর যশোর, বরিশালে যাওয়া যাবে। তখন আর কোনো সংকট হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এই মহাব্যবস্থাপক।

অ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এবং অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার হাসান মাসুদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন তো বিমানের এয়ার ক্রাফট কমে গেছে। এয়ারক্রাফট কমে যাওয়া মানে বিরাট শিডিউল বিপর্যয় হওয়ার কথা। এটি কাটাতে হলে এখন বোয়িং বিমান দিয়ে করা যেতে পারে। কিন্তু বোয়িং বিমান দিয়ে ফ্লাইট চালানোর ক্ষেত্রে মাথায় নিতে হবে সেখানে কীরকম যাত্রী রয়েছে, কত যাত্রী সেখানে হয়।’

হাসান মাসুদ বলেন, ‘কোনো ফ্লাইটে ৬০ শতাংশের যাত্রী কম হলে তাকে লোকসান হিসেবে ধরে নিতে হবে। এরপরও বিমান এই বিপর্যয় কীভাবে মোকাবিলা করবে সেটি নিয়ে আমরা চিন্তিত।’

সেক্ষেত্রে কিছু কিছু জায়গায় যদি বোয়িং দিয়ে রি শিডিউল করা যায় তাহলে কিছুটা বিপর্যয় কাটানো যেতে পারে বলেন উইং কমান্ডার হাসান মাসুদ।

শিডিউল বিপর্যয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিমানের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিল বলেন, ‘প্রতিটি উড়োজাহাজের নির্ধারিত শিডিউল রয়েছে। শিডিউলের বাইরে সেগুলো এই মুহূর্তে ব্যবহার করা সম্ভব নয়। এছাড়া এত অল্প সময়ে বাড়তি উড়োজাহাজও সংগ্রহ করা সহজ হবে না। তারপরও বিমানের শিডিউল সংকটে কী করা যায় সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করব।’

সারাবাংলা/জেএ/একে

আরও পড়ুন
ইয়াংগুনে পাইলট-ক্রুদের ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট
ইয়াংগুনে বিমান দুর্ঘটনা: তদন্তে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশও
ইয়াংগুনে বিমান দুর্ঘটনা: ১৫ কার্যদিবসে দিতে হবে তদন্ত প্রতিবেদন
আহত যাত্রীদের চিকিৎসার খরচ দেবে বিমান
ইয়াংগুনে বিমান দুর্ঘটনা তদন্তে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন
ফিরেছে বিশেষ ফ্লাইট, আসেনি দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীরা
ভারী বর্ষণ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণেই বিমান দুর্ঘটনা: মিয়ানমার

বিমান বিমান বাংলাদেশ শিডিউল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর