Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা স্পষ্ট করা প্রয়োজন: এডিটরস গিল্ড


১৯ মে ২০১৯ ১৮:২১

ঢাকা: বিচারাধীন মামলার প্রতিবেদন প্রকাশের ব্যাপারে সুপ্রিমকোর্ট যে ভাষায় নির্দেশনা দিয়েছে তা অনুসরণ করতে গেলে বিচারাধীন কোনো মামলার কোনো বিষয়েই সংবাদ পরিবেশন করা যাবে না। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে উচ্চ আদালত প্রশাসনের নির্দেশনা স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে করে এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশ।

সংগঠনের সভাপতি তৌফিক ইমরোজ খালিদী স্বাক্ষরিত রোববার (১৯ মে) দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আদালতে শুনানিকালে বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে যে কথোপকথন হয়, সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ বা প্রাসঙ্গিক মনে করলে গণমাধ্যম অনেক সময় তা প্রকাশ করে।

বিজ্ঞাপন

তবে আদালতের কার্যক্রম নিয়ে কোনো ধরনের পর্যবেক্ষণ বা মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার বিষয়ে এডিটরস গিল্ড একমত এবং সে বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসন থেকে গত ১৬ মে বিচারাধীন বিষয়ে সংবাদ পরিবেশনে বিরত থাকার একটি নির্দেশনা আসে। হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশনায় বলা হয়, ইদানিং লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কোনো ইলেকট্রনিক মিডিয়া তাদের চ্যানেলে এবং কোনো কোনো প্রিন্ট মিডিয়া তাদের পত্রিকায় বিচারাধীন মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করছে, যা একেবারেই অনভিপ্রেত। এমতাবস্থায়, বিচারাধীন কোনো বিষয়ে সংবাদ পরিবেশন/স্ক্রল করা হতে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।

গিল্ড মনে করে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বিভিন্ন আলোচিত মামলার বিচারের অগ্রগতি ও শুনানির সংবাদ গুরুত্বের সঙ্গে প্রকাশ ও প্রচার করে এসেছে গণমাধ্যম। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, শারমিন রীমা হত্যা, শাজনীন হত্যা থেকে শুরু করে ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলা, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চার নেতা হত্যা মামলা, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানিকালে আদালতকক্ষের কর্মকাণ্ডের খবর গণমাধ্যমে সবিস্তারে এসেছে নিয়মিতভাবে। এতদিন ধরে যেভাবে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার চলে আসছে, সেটাকে ‘ইদানিং’ হিসেবে বর্ণনা করে সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের হঠাৎ কেন ওই নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন হল, তা স্পষ্ট করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এই নির্দেশনা অনুসরণ করতে গেলে যে কোনো ঘটনার বিচার শেষে রায় হলে কেবল তখনই সংবাদ প্রকাশ কিংবা প্রচার করা যাবে। পাঠক, দর্শক, শ্রোতা তথা জনসাধারণের কাছে তথ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিষয়টি স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে গিল্ড মনে করে।

সারাবাংলা/এসআই/এমএইচ

এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর