বাজেটে করপোরেট কর ৩৫ শতাংশ চায় বীমা খাত
২১ মে ২০১৯ ১৩:৫৮
ঢাকা: আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বীমা খাতের করপোরেট কর সাড়ে ৩৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)। একইসঙ্গে সংগঠনের পক্ষ থেকে পূনঃবীমা প্রিমিয়ামের ওপর থেকে বিদ্যমান ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহারসহ ৯ দফা দাবি জানানো হয়।
মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে সংগঠনের কার্যালয়ে বাজেট পূর্ববর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন বিআইএ‘র সভাপতি শেখ কবির হোসেন। এ সময় বিআইএ‘র সহসভাপতি রুবিনা হক, নিটোল ইন্স্যেুরেন্সের চেয়ারম্যান মনিরুল হক, ইউনিয়ন ইন্সুরেন্সের চেয়ারম্যান মোজাফফর হোসেন পল্টু, গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরীসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
শেখ কবির হোসেন বলেন, বাংলাদেশে ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি এখনো ব্যাংকের মত ব্যাপকভাবে প্রসার পায়নি। ফলে, ব্যাংক এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির করপোরেট কর এক হতে পারে না। তাই, আগামী বাজেটে বীমা খাতের করপোরেট কর আড়াই শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হোক।
তিনি বলেন, বীমা কোম্পানিগুলোর প্রিমিয়ামের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে, পুন:বীমা কমিশনের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের কোনো সুযোগ নেই। এই ধরনের ভ্যাট ধার্য্য করা হলে এটাকে দ্বৈত কর বলে বিবেচিত হবে।
শেখ কবির হোসেন বলেন, জীবন বীমা কোম্পানির পলিসিহোল্ডাদের মুনাফার ওপর ৫ শতাংশ গেইন ট্যাক্স প্রত্যাহার করতে হবে। এই ট্যাক্সের কারণে জীবন বীমা কোম্পানির ব্যবসা কমতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, জীবন বীমা ইন্সুরেন্স কোম্পানির স্বাস্থ্য বীমার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ থাকলেও সাধারণ বীমা কোম্পানিগুলোকে স্বাস্থ্য বীমার ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হচ্ছে। এটা তুলে দিতে হবে। এছাড়াও, বীমা এজেন্টদের কমিশনের ওপর ৫ শতাংশ উৎস কর কর্তন করার দাবি জানানো হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে শেখ কবির হোসেন বলেন, কিছু কিছু কোম্পানি বীমা দাবি পরিশোধ যথাসময়ে না করায় অনেক সাধারণ মানুষের বীমা খাতের ওপর আস্থা কমেছে এটা সত্য। তবে, এই সংখ্যা অনেক কম। তিনি বলেন, প্রতিবছর বীমা কোম্পানিগুলো ৮ থেকে ৯ হাজার কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করছে।
তিনি বলেন, আইডিআরএ‘র নতুন চেয়ারম্যান আসার পর বীমা খাতে আগের চেয়ে অনেক বেশি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আসছে। শতভাগ বীমা দাবি পরিশোধ করার জন্য আমরা কাজ করছি।
সারাবাংলা/জিএস/জেএএম