পাসপোর্ট ছাড়াই পাইলটের যাত্রা: ইমিগ্রেশন পুলিশের এসআই বরখাস্ত
৮ জুন ২০১৯ ১৯:৫২
ঢাকা: সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় বিমানের ফ্লাইট নিয়ে কাতার গিয়ে পাইলট ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদের আটকে পড়ার ঘটনায় বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) কামরুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৫ জুন বিমানের ওই পাইলটের পাসপোর্ট না দেখেই তাকে কাতার যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর ইমিগ্রেশনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইসমাইল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এয়ারলাইন্সের ক্রুদের জিডি (জেনারেল ডিক্লারেশন) দিয়েই ইমিগ্রেশন হয়, পাসপোর্ট প্রুভ হিসেবে দেখা হয়। ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তা ওই অফিসার, ওই জিডিতে ত্রু আইডি দিয়ে ইনপুট দেওয়ার পরই সব তথ্য আসে। সেদিনও ক্রু আইডি দিয়ে সব দেখার পর তার কাছে সঠিক মনে হওয়াতে ইমিগ্রেশন করে দিয়েছে।’
কিন্তু তিনি (ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ) পাসপোর্ট দেখাননি, আমার ইমিগ্রেশন অফিসার জিজ্ঞেস করার পর বলেছেন, ‘পাসপোর্ট তার ব্যাগে রয়েছে। যেহেতু চেনাজানা, সবসময় আসা-যাওয়া করে, সিনিয়র পাইলট। তাই হয়তো সরল বিশ্বাসে করে দিয়েছেন। তারপরও বিষয়টি আমলে নিয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।’
যদিও গতকাল ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ সারাবাংলাকে জানান, ভুল করে সেদিন তার পাসপোর্ট নেওয়া হয়নি। সেদিন ইমিগ্রেশনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাও ভুল করেছেন বলে মনে করেন বিমানের এই পাইলট। তিনি বলেন, ‘আমার ভুল তো ছিলই। তারও (দায়িত্বরত কর্মকর্তা) ভুল হয়েছে। তিনি যদি পাসপোর্ট দেখতে চাইতেন, তাহলে আমার ভুলটা তখনই ধরা পরত। আমি বলব, দুই জনের ভুল মিলিয়েই এ ঘটনা ঘটেছে।’
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে গত বুধবার (৫ জুন) রাতে বিমানের বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ নিয়ে কাতার যান ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ চৌধুরী। এসময় দোহা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সঙ্গে পাসপোর্ট না থাকায় তাকে আটকে দেয় কাতার ইমিগ্রেশন।
আরও পড়ুন: পাসপোর্ট নেই বিমান পাইলটের, আটকা পড়লেন কাতার ইমিগ্রেশনে
সারাবাংলা/জেএ/এমও