পদ্মাসেতুতে বরাদ্দ ৫ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা
১৩ জুন ২০১৯ ১৬:০৭
ঢাকা: জাতির আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক পদ্মাসেতু প্রকল্পের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫ হাজার ৩৭০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৬৫৬ কোটি টাকা। সে তুলনায় আগামী অর্থবছরের বাজেটে বরাদ্দ বাড়ছে ২ হাজার ৭১৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণার সময় এডিপিও উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। সঙ্গে মেগা প্রকল্পগুলোর বরাদ্দও উত্থাপিত হয়।
প্রামাণ্যচিত্র দিয়ে বাজেট উপস্থাপন শুরু
সব মিলিয়ে বড় ১০ প্রকল্পের বরাদ্দ থাকছে প্রায় ৩৯ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৫১৮ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ২৪ হাজার ৭৯৪ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে অবকাঠামো উন্নয়ন। এজন্য মেগা প্রকল্পগুলোতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। বাজেটে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ১৪ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে। আরএডিপিতে এ প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ৩১৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। মেট্রোলে প্রকল্পে ৭ হাজার ২১২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৪৮৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
এছাড়া কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পে হচ্ছে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৩৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা। আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ১৭৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। পদ্মাসেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে বরাদ্দ থাকছে ৩ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা, আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ২৯০ কোটি টাকা।
অন্যান্য প্রকল্পগুলোর মধ্যে মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৩ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। সাপোর্ট টু ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ৩৮ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ১০১ কোটি টাকা। ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৭০৫ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৩০৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। দোহাজারী হতে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু হতে মিয়ানমারের কাছে ঘুমধুম পর্যন্ত সিংগেল লাইন ডুয়েল গেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৫২৮ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৫০০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে বরাদ্দ ছিল ৫৭৮ কোটি ৪৬ লাখ টাকা।
সারাবাংলা/জেজে/এমআই