পাটপণ্যে ঘরের মার্কেট ধরতে হবে: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
৩ জুলাই ২০১৯ ১৫:০৬
ঢাকা: পাটপণ্যকে জনবান্ধব করার মাধ্যমে দেশের ভেতরে বাজার সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক)। পাটজাত পণ্যের প্রসার ও উন্নয়নের জন্য এ ধরনের পণ্য জনবান্ধব করার কোনো বিকল্প নেই বলেও মনে করেন তিনি।
বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে করিম চেম্বারে বহুমুখি পাটপণ্য মেলার উদ্বোধনকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) উদ্যোগে শুরু হয়েছে এই মেলা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয় দফা দাবির প্রসঙ্গ টেনে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘ছয় দফার মধ্যে পাটপণ্যের অধিকার নিয়ে লেখা ছিল। তখন পাটই ছিলো আমাদের একমাত্র অর্জনের বস্তু। বঙ্গবন্ধুর যেমন পাটপণ্য নিয়ে আবেগ ছিলো তেমনিভাবে তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও পাটপণ্য নিয়ে আবেগ আছে। পাটপণ্যকে এগিয়ে নিতে আমাদের সবাইকে চিন্তা করতে হবে। বহুমুখি পাটপণ্যকে জনবান্ধব করতে হবে। ভারত ৮০ শতাংশ পাট পণ্য নিজেরাই নিজেদের দেশে বিক্রি করে তাহলে আমরা কেন পারব না? এজন্য নিজেদের ঘরের মার্কেট ধরতে হবে। তাহলে দেশের উদ্যোক্তারা লাভবান হবেন ও পাটজাত পণ্যের প্রসারে এগিয়ে আসবেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, মেলায় পাটের ২৮০টি পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। অন্যদিকে, ১১৮টি দেশে পাটপণ্য রফতানি করা হচ্ছে। সরকারের সহযোগিতায় বিজ্ঞানীরা পলিথিনের বিকল্প হিসেবে সোনালি ব্যাগ উদ্ভাবন করেছেন। বর্তমানে প্রতিদিন দুই হাজার সোনালি ব্যাগ তৈরির সক্ষমতা নিয়ে প্রকল্পটি চালু আছে। আগামীতে দৈনিক এক লাখ সোনালি ব্যাগ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে কাজ চলছে। এছাড়া, এবার পাটপণ্য রফতানিতে ২০ শতাংশ ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, পাটকাঠি থেকে কার্বন তৈরি করে চীনে রফতানি করা হচ্ছে। অপরদিকে, পাট পাতা থেকে উৎপাদিত ২.৪ টন চা ২০১৭-১৮ অর্থবছরে জার্মানিতে রফতানি করে ৩৬ হাজার ডলার আয় হয়েছে। আগামীতে এই রফতানি আরও বাড়বে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। তিনি বলেন, ‘বিদেশিরা এখন বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে চায়। দেশে পাটের বিশাল বাজার রয়েছে। অন্য দেশ নিজেরা নিজেদের পাটের বাজার ধরতে পারলে আমরা কেন পারব না? দেশে পাটের ব্যবহারে বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে প্রাইভেট সেক্টরকে যুক্ত করতে হবে। তাহলে, উদ্যোক্তারা যেমন লাভবান হবে দেশের পাটখাত এগিয়ে যাবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেডিপির অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী পরিচালক রীনা পারভীন, পাট অধিদফতরের মহাপরিচালক শামসুল আলম, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও সাবেক সচিব মিজানুর রহমান।
সারাবাংলা/এসজে/এসএমএন
গোলাম দস্তগীর গাজী (বীর প্রতীক) পাটপণ্যের প্রসার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়