Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মশার ওষুধে কার্যকারিতা নেই, স্বীকার করলেন মেয়র


৯ জুলাই ২০১৯ ১৪:৫৩

ফাইল ছবি

ঢাকা : রাজধানীতে মশা নিধনের জন্য ছিটানো ওষুধে ভেজাল না থাকলেও এর কার্যকারিতা খুব একটা নেই বলে স্বীকার করলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) মেয়র সাঈদ খোকন। আর নতুন ওষুধ না আসা পর্যন্ত বর্তমান ওষুধই নগরে মশা নিধনে ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে নগরীর সুশৃঙ্খল গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার বিষয়ে এক কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

সাঈদ খোকন বলেন, ‘বর্তমানে আমরা (সিটি করপোরেশন) যে ওষুধ ব্যবহার করছি সেটার কার্যকারিতা খুব একটা নেই। আমরা যে ওষুধগুলো ব্যবহার করে থাকি সেটা ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনন (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক প্রেসক্রাইবড করা। সুতরা যদি ওষুধ পরিবর্তন করতে হয় তাদের অনুমোদন নিয়ে করতে হবে। কিন্তু এটা করতে সময় লাগবে।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী, প্রকোপ বেশি দক্ষিণে

বর্তমান যে ওষুধগুলো রয়েছে, এই সময়ের মধ্যে সেগুলোই এখন আমাদের ব্যবহার করা ছাড়া বিকল্প তেমন কিছু করার নেই জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘যদিও এই ওষুধগুলোর কার্যকারিতা কিছুটা কম, কিন্তু তারপরেও হচ্ছে, একেবাবে জিরো এইরকম না। যতটুকু হওয়ার কথা ততটুকু না।’  মেয়র আরও বলেন, ‘ওষুধের মধ্যে কোনো ভেজাল নেই। তবে কার্যকারিতা কিছুটা কমে গেছে।’

এ বছর ডেঙ্গুর মাত্রা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ছে  কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাঈদ খোকন বলেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেশি। কিন্তু এখনো আতঙ্কিত হবার মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: এবার মৌসুমের আগেই ডেঙ্গুর হানা

সাঈদ খোকন বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সময়ে ২৮ হাজার মানুষ ডেঙ্গুতে আত্রান্ত হয়েছে এবং ৪৩ জনের মূত্যু হয়েছে। এছাড়া সিঙ্গাপুরে এ বছর ৬ হাজার ২২১ জন ডেঙ্গুতে আত্রান্ত হয়েছে। যা পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি দিল্লী শহরেও ঢাকার থেকে অনেক বেশি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন: শিশুর ডেঙ্গুজ্বরে করণীয়

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের ঢাকা শহরে যে সমস্ত ডেঙ্গু রোগী আসছেন তারা সারা বাংলাদেশ থেকে আসছেন। এমন নয়, এই রোগীগুলো কেবল ঢাকা উত্তর কিংবা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের রোগী।

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকায় চিকিৎসা নিতে আসছেন এমন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১০০ প্লাস বলে জানান মেয়র। তিনি বলেন, ‘এসব রোগী ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৮৭৫ জনের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আরেকটি মৃত্যুর কথা শোনা যায়, একজন ডাক্তার, যিনি তিনবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এমনটায় জানা গেছে। এই রকম একটা পরিসংখ্যান কোনোভাবেই প্রমাণ করে না ডেঙ্গু অনেক ব্যাপকতা ছড়িয়েছে। এই কথা আমরা বলতে পারি না।’

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ডেঙ্গুর ব্যাপকতা ‍যদি ছড়িয়ে যেত, আমরা অব্যশই সেটা জনগণকে অবহিত করতাম। আমরা যে ব্যবস্থাগুলো নিচ্ছি তাতে ডেঙ্গু সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত অবস্থায় থাকবে, ভয়ের কোনো কারণ নেই। আতঙ্কিত হবার মতো এখনো কিছু হয়নি।’

মেয়র সাঈদ খোকন আরও জানান, ‘আগামী ১৫ জুলাই থেকে চারশ ৫০টি ভ্রাম্যমাণ মেডিকেল টিম প্রতিটি ওয়ার্ডে থাকবে। বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হবে। একটি হটলাইন চালু করা হবে। ওই নাম্বারে ফোন করা হলে মেডিকেল টিমি বাসায় চলে যাবে। কোনো নাগরিক ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে সংকটাপন্ন হলে প্রয়োজনে ডিএনসিসির উদ্যোগে তাকে বিদেশে পাঠানো হবে।’

সারাবাংলা/জিএস/জেডএফ 

মশা মশার ওষুধ সাঈদ খোকন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর