Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘স্থলবন্দর থেকে এক বছরে সরকারের আয় প্রায় সাড়ে ৭৬ কোটি টাকা’


১১ জুলাই ২০১৯ ০১:০৯

সংসদে নৌ–পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ঘোষনামতে বাংলাদেশ স্থলবন্দরের সংখ্যা ২৩টি। এর মধ্যে ২২টি ভারত সীমান্তবর্তী এবং ১টি মিয়ানমার সীমান্তবর্তী (টেকনাফ)। এসব স্থলবন্দর থেকে ২০১৮–১৯ অর্থবছরে (জুলাই–ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয়মাসে) সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৭৬ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৮৫৭ লাখ টাকা।

বুধবার (১০ জুলাই) টেবিলে উত্থাপিত মনজুর হোসেনের প্রশ্নের জবাবে সংসদকে নৌ–পরিবহন প্রতিমন্ত্রী এমন তথ্য জানান। স্পিকারের সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।

বিজ্ঞাপন

সংরক্ষিত মহিলা এমপি হাবিবা রহমান খানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রাজধানী ঢাকার চারপাশে নৌপথ চালুকরনে (১ম পর্যায় ২০০০–২০০৫ এবং দ্বিতীয় পর্যায় ২০০৮–২০১৩) দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সদরঘাট হতে আশুলিয়া এবং আশুলিয়া হতে কাঁচপুর পর্যন্ত ১২০ ফুট প্রশস্ততা ও ৬ ফুট ড্রাফট বিশিষ্ট নৌপথ চালু করা হয়। বর্তমানে নৌপথটি উক্ত ড্রাফটে চালু আছে। দ্রুতগামী ওয়াটার বাস না থাকা ও নদীর পানি দূষিত থাকায় ওয়াটার বাসে যাতায়াতে যাত্রীরা কম আগ্রহী।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ঢাকার চারপাশের নৌপথে ১৫টি ল্যান্ডিং স্টেশনে বিভিন্ন নৌযানের মাধ্যমে মালামাল পরিবাহিত হয়। মালামাল ওঠানামার জন্য ইজারা দেওয়া হয়েছে। ২০১৯–২০ অর্থ বছরে ঘাট সমূহ হতে ১১ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা ইজারা দেওয়া হয়েছে। নৌপথটিতে কার্গো চলাচল করে। ঢাকা শহরের চারপাশে বৃত্তাকার নৌ পথে বিআইডব্লিউটিসি’র মাধ্যমে বর্তমানে বাদামতলী হতে গাবতলী এবং টঙ্গী হতে নারায়নগঞ্জ নৌ রুটে নিয়মিত ওয়াটার বাস সার্ভিস পরিচালনা করা হচ্ছে। দ্রুতহামী ওয়াটার বাস না থাকা ও নদীর পানি দূষিত থাকায় যাত্রীগন ওয়াটার বাসে যাতায়তে কম আগ্রহী।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের চারদিকে নদীর তীর ভূমি হতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে উদ্ধারকৃত তীর ভূমিতে ঢাকা নারায়নগঞ্জ ও টঙ্গী নদীর বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে অবকাঠামো সুবিধা নির্মাণ ২০১১ সালের জুলাই হতে ২০১৪ সালের জুন একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০ কি.মি. ওয়াকওয়ে, বনায়ন ও ২টি ইকোপার্ক নির্মাণ করা হয়েছে।

এছাড়া ২০১৯ সালের জানুয়ারি হতে  জুন মাস পর্যন্ত ৪৫০০ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ঢাকার চারদিকে নদীর তীর ভূমির প্রায় ১৩৫ দশমিক ৫০ একর ভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় নিলামের মাধ্যমে ৭ কোটি ৫৮ হাজার টাকা এবং ২৭ লাখ ৬ হাজার টাকা আদায় করা হয়েছে। বর্তমানে বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর উচ্ছেদকৃত তীরভূমিতে পিলার স্থাপন, তীর রক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ৮৪৮ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আরো ৫২ কি.মি. ওয়াকওয়ে ১০ হাজার ৮২০টি সীমানা পিলার বনায়ন ৩টি ইকোপার্ক, ৬টি পল্টুন, ৪০ কি.মি. ওয়াল, ১৯টি আরসিসি জেটি, ৪০টি স্পাড ও ৪০৯টি বসার বেঞ্জ নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে যা ২০২২ সালের মধ্যে শেষ হবে।

সারাবাংলা/এ এইচ এইচ/আরএসও

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী নৌপথ রাজস্ব আয় স্থলবন্দর

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর