চবি শিক্ষার্থী হত্যাকারীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
২৩ জুলাই ২০১৯ ১৭:০৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী সাদেকুল ইসলাম সায়েম হত্যাকারী গাড়িচালক এমজাত হোসেনের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্দন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এই মানবন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র জনি বলেন, ‘সাদেকের মৃত্যু আমাদের কলিজায় আঘাত করেছে। এভাবে আর যেন কারও স্বপ্ন ভেঙে না যায় সেজন্য প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এই হত্যার বিচার না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রশাসনের কাছে এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার প্রত্যাশা করছি।’
সাদেকের বন্ধু জুনায়েদ বলেন, ‘সাদেকে মৃত্যু এটি সকলের কাছে বেদনাদায়ক। গাড়ি চালকের অবহেলা এখানে স্পষ্ট প্রতীয়মান। এরকম অপরাধীর কিসের এত ক্ষমতা যে গাড়ি চালক সমিতি ৯ দিন মেডিকেলে থাকাকালীন কেউ সাদেকের খবর নিলো না। আমরা মামলা করেছি তারপরেও থানা সুষ্ঠু পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। যার কারণে সে স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ায়। আদালত আমাদের সুষ্ঠু বিচারে শেষ আশ্রয়স্থল। এসব অপরাধী এবং ঘাতকের কারণে কেন আদালত প্রশ্নবিদ্ধ হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অভিবাক তাই আমরা আশাবাদী হত্যাকারীর সুষ্ঠু বিচার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি বলেন, ‘আমাদের দেশে বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকরী করতে হবে। বিচারের আড়ালে কেউ যেন পার পেয়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরীয়া বলেন, ‘ঘটনা শোনার পরে আমি মেডিকেলে যাই। তার চিকিৎসা ব্যবস্থা করি। মালিক সমিতি এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে চিকিৎসা তদারকি করে। তার চিকিৎসায় টাকার অভাব হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও অর্থ ও অ্যাম্বুলেন্স সুবিধা দিয়েছে। তারপরেও সাদেকের মৃত্যু খুবই বেদনাদায়ক। হত্যাকারী গাড়িচালক জামিন আমাদের জন্য লজ্জার ও দুঃখের। এরকম হলে আমাদের সবার জীবন বিপন্ন হবে। এভাবে কোনো ঘাতক মুক্তি পাওয়া পুরো জাতির জন্য অশনিসংকেত। এই হত্যাকারী সর্বোচ্চ বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে আবেদন জানাচ্ছি। অনতিবিলম্বে সাদেকের হত্যায় জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
প্রাণিবিদ্যা বিভাগের ১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র মো. জামিল হোসাইনের সঞ্চালনায় সংহতি প্রকাশ করেন অধ্যাপক ড. ফরিদ আহসান, অধ্যাপক ড. শওকত আরা বেগম, অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক রাশেদা চৌধুরী, সহকারী অধ্যাপক মাহবুবা হাসনাত। এছাড়া এ সময় একশরও বেশি শিক্ষার্থী মানববন্ধনে অংশ নেন।
সারাবাংলা/সিসি/এমআই