Thursday 05 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ব্যাংক লুটপাটের বিষয় শক্তভাবে দেখা উচিত : হাইকোর্ট


৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ১৯:৩২

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ব্যাংক লুটপাটের বিষয়গুলো খুব শক্তভাবে দেখা দরকার, না হলে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।

ঋণ কেলেঙ্কারীর ঘটনায় বেসিক ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) ফজলুস সোবহানকে জামিন সংক্রান্ত এক রুলের শুনানিতে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এ সময় আদালত বলেন, আর্থিক অনিয়মের বিষয়গুলো গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা উচিত। এ মামলায় চার্জশিট দিতে দেরি হওয়ায় আদালত উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

দুই শত কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক দাবি করে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান গতকাল যে বক্তব্য দিয়েছেন এজন্য তার সম্পত্তির উৎস চেয়ে দুদকের ২৬ ধারায় নোটিশ দেয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

জামিন সংক্রান্ত জারি করা রুল নিষ্পত্তি করে আদালত বেসিক ব্যাংকের ডিএমডি ফজলুল সোবহানসহ তিনজনকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন দিয়েছেন। শর্ত অনুযায়ী আদালতের অনুমতি ছাড়া দেশের বাহিরে যেতে পারবে না এই তিনজন। তাদের পাসপোর্টও জমা দিতে হবে। অন্য দুই জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বেসিক ব্যাংক গুলশান শাখার ম্যানেজার সিপার আহমেদ ও ব্যাংক কর্মকর্তা মো. সেলিম।

চারটি মামলায় ফজলুস সোবহানকে এব্ং অপর দুটি করে মামলায় বাকি দুই কর্মকর্তাকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

আদালতে ব্যাংক কর্মর্তাদের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু এবং ড. শাহদীন মালিক। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন  ছিলেন সৈয়দ মামুন মাহবুব, একেএম ফজলুল হক ও কামাল আমরুহী।

পরে মামুন মাহবুব সারাবাংলাকে বলেন, দীর্ঘসময় নেয়ার পরও চার্জশিট না দেওয়ায় বেসিক ব্যাংকের ডিএমডি ফজলুস সোবহানকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট। মোট চারটি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।

আইনজীবী মামুন মাহবুব বলেন, এ জামিন আদেশে আমরা তীব্র আপত্তি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, এ মামলায় তদন্ত চলছে। বেশ অগ্রগতিও হয়েছে। তাছাড়া বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যানকেও দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করছে। অল্প দিনের মধ্যেই চার্জশিট দেয়া হবে বলেও আদালতকে তিনি জানিয়েছেন।

হাইকোর্টের এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে কি না জানতে চাইলে দুদকের এ আইনজীবী বলেন, আদেশের বিষয়ে দুদককে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুদকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখায় ২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুদক পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে।

এরপর ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে ব্যাংকটির ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ৫৬টি মামলা করে দুদক। মামলায় বেসিক ব্যাংকের ২৬ জন কর্মকর্তাসহ মোট একশ ৫৬ জন আসামি করা হয়। ব্যাংক কর্মকর্তার বাইরে অপর আসামিরা ঋণ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠান ও ব্যাংক নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত।

তবে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারমান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু এবং ব্যাংটির পরিচালনা পর্ষদকে আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়। বিষয়টি আদালতের নজরে আসার পর এনিয়ে আদালত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে আবদুল হাই বাচ্চুর বক্তব্য জানতে চেয়ে দুদক তাকে নোটিশ দেয়। এ নোটিশের পর আবদুল হাই বাচ্চু দুদকে হাজির হন। দুদক এরইমধ্যে তাকে দু’দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

এজেডকে/জেডএফ


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর