Monday 09 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

অস্ত্র উদ্ধারে নিয়ে যাওয়া আসামি মারা গেলেন ‘বন্দুকযুদ্ধে’


২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:৩৮ | আপডেট: ২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:১৭
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও ২ মামলার আসামি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার আমিন কলোনি ফুটবল মাঠ এলাকায় এই ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার পরিত্রাণ তালুকদার।

মৃত জয়নাল আবেদিন (২২) নগরীর আমিন কলোনিতে থাকতেন। কথিত বন্দুকযুদ্ধের পর পুলিশ তার এক সহযোগীকেও গ্রেফতার করেছে।

নগর পুলিশের বায়েজিদ বোস্তামি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) পরিত্রাণ তালুকদার সারাবাংলাকে জানান, গত ৩১ আগস্ট আমিন কলোনি এলাকায় মো. হৃদয় নামে এক ভ্যানগাড়ি চালককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে জয়নাল। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় হৃদয়ের মা শামসুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে জয়নাল ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় রোববার সন্ধ্যার দিকে জয়নালকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

এসি পরিত্রাণের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে জয়নাল তার হেফাজতে অস্ত্র থাকার কথা স্বীকার করে। রাত দেড়টার দিকে পুলিশ জয়নালকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে যাওয়ার সময় আমিন কলোনি ফুটবল মাঠে পুলিশের ওপর আক্রমণ করে। এসময় জয়নালের সহযোগী সন্ত্রাসীদের গুলি ও ইট-পাটকেলে আহত হন বায়েজিদ বোস্তামি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোহাম্মদ নাসিম হোসেন ও কনস্টেবল মাসুদ রানা।

একপর্যায়ে পুলিশের কাছ থেকে সন্ত্রাসীরা জয়নালকে ছিনিয়ে নিতে চাইলে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা গুলি ছোঁড়েন। পালিয়ে যাওয়ার সময় জয়নাল গুলিবিদ্ধ হয়। পুলিশের পাল্টা গুলিতে পিছু হটে জয়নালের সহযোগী সন্ত্রাসীরা। গ্রেফতার করা হয় জয়নালের সহযোগী মো. জিসানকে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় এলজি এবং তিনটি কার্তুজ ও তিনটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

রাতে জয়নাল আবেদিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চম তলায় ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। সোমবার ভোরে তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসি পরিত্রাণ তালুকদার।

‘জয়নাল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার আচরণ খুবই বেপরোয়া। সে এলাকায় চাঁদাবাজি-ছিনতাই করে। নিরীহ লোকজনকে ভয়ভীতি দেখায়। সে প্রকাশ্যে যাকে-তাকে কুপিয়ে আহত করে। তার অপরাধের জন্য আমিন কলোনিসহ আশপাশের এলাকার মানুষ অতীষ্ঠ ছিল,’— বলেন এসি পরিত্রাণ।

পুলিশের ওপর হামলা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় জয়নালের সহযোগীদের বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় আরও একটি মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসি পরিত্রাণ তালুকদার।

২ মামলার আসামি অস্ত্র উদ্ধার বন্দুকযুদ্ধ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর