‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার ২ রোহিঙ্গা আসামির মৃত্যু
১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৮:৫১
কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার ২ রোহিঙ্গা আসামির মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে অস্ত্র-গোলাবারুদ। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৩ পুলিশ সদস্যও।
‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃতরা হলেন, মিয়ানমারের মংড়‘–র বুসিদং এলাকার জমির আহাম্মদের ছেলে মো. আব্দুল করিম ও একই এলাকার সৈয়দ হোসেনের ছেলে নেছার আহাম্মদ প্রকাশ ওরফে নেছার ডাকাত। তারা দুই জন‘ই টেকনাফের নয়াপড়া শরণার্থী শিবিরে থাকতেন।
এ নিয়ে ওমর ফারুক হত্যা মামলার মোট ৫ রোহিঙ্গা আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা গেছেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে হ্নীলার জাদিরমুড়া এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ওই দুই রোহিঙ্গার মৃত্যু হয় বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
ওসি প্রদীপ বলেন, যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভোররাতে টেকনাফের একদল পুলিশ জাদিরমুড়া এলাকায় অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
তিনি জানান, পুলিশও প্রায় ২৫ রাউন্ডের মতো পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ও দুই রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। আহতের প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আহত দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনায় ঘটনাস্থল থেকে ১টি দেশীয় বন্দুক, ৭ রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৯ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছেন ওসি প্রদীপ। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন, কাজী সাইফ উদ্দিন, নাবিল ও রবিউল ইসলাম।
মৃত ২ রোহিঙ্গার লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার বন্দুকযুদ্ধ যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা রোহিঙ্গা আসামি