Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দ্বন্দ্বে জালিয়াতি ফাঁস, নজরদারিতে ইসির ২৫ কর্মী


২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:০৫

চট্টগ্রাম ব্যুরো : রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও জাতীয় পরিচয়পত্র পাইয়ে দেওয়ার জন্য নেওয়া অবৈধ টাকার ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সেই দ্বন্দ্ব থেকেই ফাঁস হয়ে যায় রোহিঙ্গাদের নিয়ে এই জালিয়াতির ঘটনা, যা থানা-পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।

দ্বন্দ্ব এমন পর্যায়ে যে, গ্রেফতার হওয়া দুজন নির্বাচন অফিসের কর্মচারী একে অপরের সিন্ডিকেটে থাকা সদস্যদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করে দিচ্ছেন তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে। এর ফলে চট্টগ্রাম জেলা ও উপজেলা এবং ঢাকায় নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে কর্মরত অন্তত ২৫ জনকে নজরদারির আওতায় এনেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। এই নজরদারির মধ্যে ইসির কয়েকজন পদস্থ কর্মকর্তাও আছেন।

বিজ্ঞাপন

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নিয়ে জালিয়াতির হোতাদের মধ্যে এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া দুজন হলেন- চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিন ও বোয়ালখালী থানায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৯ প্রকল্পে যুক্ত টেকনিক্যাল সাপোর্ট মো. মোস্তফা ফারুক। গ্রেফতারের পর তিনদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে জয়নাল আবেদিন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। মোস্তফা ফারুককে আদালতের নির্দেশে পাঁচদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জবানবন্দিতে জয়নাল আবেদিন জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত ১৬ জনের নাম প্রকাশ করেছেন, যারা মোস্তফা ফারুকের ঘনিষ্ঠ। আর জিজ্ঞাসাবাদে মোস্তফা ফারুক এ পর্যন্ত অন্তত ১২ জনের নাম জানিয়েছে, যারা জয়নাল আবেদিনের সঙ্গে জালিয়াতিতে যুক্ত ছিলেন। এর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা জয়নালের ঘনিষ্ঠ।

বিজ্ঞাপন

জানতে চাইলে তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ‘তদন্তের ক্ষেত্রে আমরা মূলত রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি বানিয়ে দেওয়ার এই কার্যক্রম কখন থেকে শুরু হয়েছে, প্রক্রিয়াটা কী, নির্বাচন অফিসের কারা কারা এর সঙ্গে জড়িত- সেসব বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে জানার চেষ্টা করছি। গ্রেফতার হওয়া জয়নাল আবেদিন এবং মোস্তফা ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে তথ্যগুলো আমরা প্রকাশ করতে পারব না।’

সূত্র মতে, জয়নাল আবেদিন ২০০৪ সালে নির্বাচন কমিশনে স্থায়ী কর্মচারী (পিয়ন) হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। আউটসোর্সিংয়ের ভিত্তিতে নিয়োগ পেয়ে মোস্তফা ফারুক অস্থায়ী হিসেবে নিয়োগ পান ২০১২ সালে। ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয় রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও এনআইডি পাইয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া। জয়নাল তখন উপজেলা অফিসে এবং মোস্তফা জেলা অফিসে। দুজনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। জয়নাল মোস্তফার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের জন্য এনআইডি তৈরি করত। অন্যদিকে সে সময় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার অফিসের বর্তমান উচ্চমান সহকারী মো. খায়ের এবং এমএলএসএস আনোয়ার হোসেনও (বর্তমানে মিরসরাই উপজেলায় কর্মরত) রোহিঙ্গাদের এনআইডি দিত। খায়ের ও আনোয়ার দুজন দালাল নজিবুল্লাহ ও নুরুল আবসারের মাধ্যমে ভোটার করা ও এনআইডি দেওয়ার জন্য রোহিঙ্গা সংগ্রহ করত।

চট্টগ্রামের আনোয়ারা এবং বান্দরবানের থানচিসহ বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে ২০১৬ সালের শুরুতে চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসে বদলি হন জয়নাল আবেদিন। শুরু থেকেই খায়ের ও আনোয়ারের সঙ্গে তার সখ্য গড়ে ওঠে। কিন্তু জয়নাল যোগ দেওয়ার পরই বদলি হয়ে যান তারা। যে ইন্ট্রানেট মডেম দিয়ে খায়ের ও আনোয়ার ইসি’র লাইসেন্স করা ল্যাপটপে নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে তারা রোহিঙ্গাদের ডাটা ইনপুট দিত, সেই সুযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের একজন কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুজন দালালের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের এনআইডি দেওয়ার জন্য প্রচুর টাকা নিয়েছিলেন খায়ের ও আনোয়ার। কিন্তু বদলি হয়ে যাওয়ায় তাদের এনআইডি দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হয়। তখন তারা দ্বারস্থ হন জয়নালের। তাকে অনুরোধ করেন মোস্তফা ফারুকের মাধ্যমে এনআইডি তৈরি করে দেওয়ার জন্য। এরপর কয়েকমাস জয়নালের মাধ্যমে মোস্তফাকে দিয়ে রোহিঙ্গাদের এনআইডি করান।’

সূত্র মতে, ২০১৬ সালের মার্চ-এপ্রিলের দিকে খায়ের-আনোয়ারের অগোচরে নজিবুল্লাহ ও নুরুল আবসারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন জয়নাল। এতে খায়ের-আনোয়ার জয়নালের ওপর ক্ষুব্ধ হন। জয়নাল ও দুই দালাল মিলে মোস্তফা ফারুককে ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের এনআইডি দিতে শুরু করেন। কিন্তু মাসখানেক পর জয়নালের সঙ্গেও মোস্তফা ফারুকের সম্পর্কের অবনতি হয়।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘জয়নাল রোহিঙ্গা সংগ্রহ করে ডাটাবেজ তৈরি করতে পারলেও সার্ভারে ইনপুট দেওয়ার ক্ষমতা তার ছিল না। মূল কাজ মোস্তফা করতেন। তিনি ভাবলেন, ৫০ হাজার টাকায় এনআইডি করে দিয়ে তিনি পাচ্ছেন মাত্র ৫ হাজার টাকা। আর ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছে জয়নাল। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হলে তারা আলাদা হয়ে যান।’

‘তখন জয়নাল নগরীর পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী নাজিমের দ্বারস্থ হন। নাজিমও মোস্তফার মতোই এক্সপার্ট ছিলেন। তখনকার পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ শেখের খুবই ঘনিষ্ঠ হিসেবে প্রভাবশালী ছিলেন নাজিম। ২০১৭ সালে কক্সবাজার দিয়ে যখন রোহিঙ্গা ঢল শুরু হয়, এরপর জয়নাল ও নাজিম মিলে গণহারে রোহিঙ্গাদের ভোটার করেন এবং এনআইডি পাইয়ে দেন। ২০১৯ সালের আগস্ট পর্যন্ত তাদের সিন্ডিকেট রোহিঙ্গাদের নিয়ে এই জালিয়াতি করে যান।’

সূত্র মতে, ভুয়া তথ্য দিয়ে একজনকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয় জানাজানির পর মোস্তফা ফারুককে কোতোয়ালী থানা নির্বাচন কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ২৯ জুন প্রত্যাহার করা হয়। তিনি তখন কোতোয়ালী থানায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। প্রত্যাহারের পর তিনি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। পাশাপাশি জয়নালের বিরোধী খায়ের ও আনোয়ারের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তাদের মাধ্যমে আবারও জালিয়াতি অব্যাহত রাখেন।

২০১৯ সালের ১১ জুন মোস্তফা ফারুক আবারও নির্বাচন কমিশনের অধীন ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম-২০১৯ প্রকল্পে যুক্ত হন। কিন্তু জয়নালের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব আরও প্রকট আকার ধারণ করে। খায়ের-আনোয়ার-মোস্তফা এবং জয়নাল-নাজিম এই দুই সিন্ডিকেটে ভাগ হয়ে চলতে থাকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে জালিয়াতি। নিজেরা স্বল্প বেতনের কর্মচারী হয়েও জয়নাল এবং মোস্তফা দুজনেই ব্যক্তিগত কর্মচারী রেখেছিলেন, যারা তাদের জালিয়াতিতে সহযোগিতা করত। জয়নালের সহযোগী ছিল জাফর এবং মোস্তফার সহযোগী ছিল তাহের।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘দুটি সিন্ডিকেটের বিরোধের ফলে তাদের জালিয়াতির তথ্য প্রকাশ হয়ে পড়ে। নির্বাচন কমিশনের চট্টগ্রাম অফিসে এসব বিষয় ছিল একেবারে ওপেন সিক্রেট। গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশের পর তদন্ত শুরু হলে জালিয়াতি ঢাকতে তড়িঘড়ি করে জয়নালকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’

কর্মচারীদের দুই গ্রুপে দ্বন্দ্বের কথা জানতেন চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খানও। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের বিরুদ্ধে আমার কাছেও এসে অভিযোগ করত। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ। এখনও সম্ভবত এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের লোকজনকে ফাঁসিয়ে দিচ্ছে।’

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, চট্টগ্রাম মহানগরীর ৬ জন নির্বাচন কর্মকর্তার লাইসেন্স থেকে সার্ভারে সরাসরি ইনপুট দেওয়ার সুযোগ ছিল। জয়নাল, মোস্তফা, খায়ের, আনোয়ার, নাজিমসহ সংশ্লিষ্টরা ৬টি থানার সার্ভারে প্রবেশ করতে পারত। রোহিঙ্গার প্রয়োজনীয় তথ্য ইসি’র নির্ধারিত সফটওয়্যারে আপলোড দিয়ে একটি অফলাইন বা ডেট ফাইল তৈরি করে সার্ভারে ইনপুট দেওয়া হত। তখন একটি পিন নম্বর ও এনআইডি নম্বর পাওয়া যেত। সেই নম্বর পাঠিয়ে দেওয়া হত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের এনআইডি উইংয়ের সাবেক কর্মচারী সাগর ও সত্যসুন্দর এবং বর্তমানে কর্মরত শাহনূরের কাছে। তারা সেটা ডাউনলোড করে প্রিন্ট দিয়ে কার্ড তৈরি করে কুরিয়ার সার্ভিসে অথবা সরাসরি মেইলে পিডিএফ করে পাঠিয়ে দিতেন।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে শাহনূরকে আটক করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।

কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এক কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘জরুরি এবং নিয়মিত এই দুই প্রক্রিয়ায় রোহিঙ্গাদের এনআইডি সরবরাহ করা হত। জরুরি ভিত্তিতে সাতদিনের মধ্যে কেউ এনআইডি পেতে চাইলে সেটা পিডিএফ ফাইল করে মেইলে পাঠিয়ে দেওয়া হত। এটা নিতে কমপক্ষে লাখের ওপর টাকা লাগত। আর নিয়মিত এনআইডি কুরিয়ারে পাঠানো হত। সেটার দাম কমপক্ষে ৫০ হাজার।’

গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি দুজন হলেন- জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া। জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সকৃত একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়, যেটি বিজয় ও সীমার কাছে রেখেছিলেন জয়নাল। রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় পাঁচজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় জয়নালকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জয়নাল আবেদিন আদালতে জবানবন্দি দেন।

জিজ্ঞাসাবাদে জয়নালের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা ফারুককে গত ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। তার কাছ থেকেও নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সকৃত একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে। মোস্তফা ফারুককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী সংস্থা।

জয়নালের জবানবন্দিতে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২২ সেপ্টেম্বর জেলা নির্বাচন অফিসের আরও তিনজন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন- মো.শাহীন (২৯), মো.জাহিদ হাসান (৩৩) এবং পাভেল বড়ুয়া (২৮)।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী মো.শাহাবুদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তা সোমবার বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ডে চেয়েছিলেন। আদালত কাল (মঙ্গলবার) শুনানির সময় নির্ধারণ করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।’

আরও পড়ুন

রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি: জড়িত ইসির ১৫ কর্মকর্তা, জানালেন ডিজি
রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি: ৭ জনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে দুদক
রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি: ইসির ৩ কর্মী গ্রেফতার
রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি: ইসির ৪ কর্মী পুলিশ হেফাজতে
রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি: জয়নালের জবানবন্দিতে ফাঁসছেন ইসির অনেকেই
রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি: গ্রেফতার ইসি কর্মী ৫ দিনের রিমান্ডে
রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডির নেপথ্যে সেই ‘জকরিয়া চক্র’
রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি, গলদ নির্বাচন কমিশনেই
জালিয়াতি করে নিজের নামেও এনআইডি বানিয়েছিলেন ইসি কর্মী
রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট বানানোর চক্রে ‘ট্রাভেল এজেন্সি-জনপ্রতিনিধি’
রোহিঙ্গাদের এনআইডি ‘প্রাপ্তিতে’ ইসির কেউ জড়িত নয়, দাবি কমিশনারের
রোহিঙ্গারা কিভাবে এনআইডি-পাসপোর্ট পাচ্ছে, অনুসন্ধানে দুদক
চট্টগ্রামে ‘ইসিপাড়ায়’ গ্রেফতার আতঙ্ক

ইসি এনআইডি কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট নির্বাচন কমিশন রোহিঙ্গা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর