ঢাকায় আটক ইসির কর্মী শাহানুর এনআইডি জালিয়াতির মামলায় গ্রেফতার
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৩৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সরবরাহ ও ভোটার বানানোর অভিযোগে আটক নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রকল্পকর্মী মো. শাহানুর মিয়াকে এ সংক্রান্ত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় শাহানুরকে নগরীর কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে বলে সারাবাংলাকে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক রাজেস বড়ুয়া।
আরও পড়ুন- দ্বন্দ্বে জালিয়াতি ফাঁস, নজরদারিতে ইসির ২৫ কর্মী
গ্রেফতার মো. শাহানুর মিয়া (৩২) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার ফাজিলখাঁর হাট এলাকার আব্দুস সবুরের ছেলে। তিনি নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর এনহ্যান্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পে টেকনিক্যাল এক্সপার্ট পদে কর্মরত আছেন বলে জানিয়েছেন রাজেশ বড়ুয়া।
বুধবার শাহানুরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছেন কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন- রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডির নেপথ্যে সেই ‘জকরিয়া চক্র’
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শাহানুরকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে আটক করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনের জবানবন্দি এবং আরেক কর্মচারী মোস্তফা ফারুককে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শাহানুরকে আটক করা হয়। মঙ্গলবার তাকে চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়ায় কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের কার্যালয়ে এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে এনআইডি জালিয়াতির মামলায় শাহানুরসহ এ পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
আরও পড়ুন- জালিয়াতি করে নিজের নামেও এনআইডি বানিয়েছিলেন ইসি কর্মী
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তারা। বাকি দু’জন হলেন— জয়নালের বন্ধু বিজয় দাশ ও তার বোন সীমা দাশ ওরফে সুমাইয়া। জয়নালের হেফাজতে থাকা নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সকৃত একটি ল্যাপটপও উদ্ধার করা হয়, যেটি বিজয় ও সীমার কাছে রেখেছিলেন জয়নাল। রাতেই ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদি হয়ে কোতোয়ালী থানায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় জয়নালকে তিন দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জয়নাল আবেদিন আদালতে জবানবন্দি দেন।
জিজ্ঞাসাবাদে জয়নালের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোস্তফা ফারুক নামে নির্বাচন কমিশনের আরেকজন অস্থায়ী কর্মচারীকে ২০ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে যুক্ত মোস্তফার কাছ থেকেও নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্সকৃত একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়েছে।
এরপর গত ২২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে আরও তিন ডাটা এন্ট্রি অপারেটরকে আটক করা হয়।
ইসি কর্মী শাহানুর এনআইডি জালিয়াতি রোহিঙ্গাদের হাতে এনআইডি শাহানুর মিয়া