নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্বার
২ অক্টোবর ২০১৯ ২২:২২
ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে হংকং ও ম্যাকাওয়ের বিখ্যাত গ্যাম্বলিং মেশিন মাহাজং উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। বুধবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. সহিদুল ইসলাম।
তিনি জানান, দুপুরে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ নেয়াজুর রহমান ও শামীমা আক্তারের নেতৃত্বে ১০ সদস্য বিশিষ্ট একটি গোয়েন্দা দল বনানীর এ-ব্লকের ১৮ নং সড়কের ২৩ নং বাড়ির দ্বিতীয় তলায় নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালায়। সেখান থেকে একটি ক্যাসিনো খেলার ইলেকট্রিক মাহাজং মেশিন উদ্ধার করা হয়। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অনুসন্ধানে দেখা যায়, আমদানিকারক নিনাদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল চায়না থেকে ২০১৮ সালের মে মাসে ২০টি কার্টুনে সাত সেট মাহাজং মেশিন আমদানি করেন। আমদানি করা পণ্যগুলো তিনি বিভিন্ন চাইনিজ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেন।
তিনি আরও জানান, ওয়েবসাইট থেকে জানা যায় ১৯৪৫ সালে চায়নাতে কমিউনিস্ট বিপ্লবের উত্থানের সময় মাহাজং খেলায় গ্যাম্বলিং আসক্তির জন্য চায়নাতে মাহাজংকে নিষিদ্ধ করা হয়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ম্যাকাও ও হংকং-এর ক্যাসিনোতে মাহাজং গ্যাম্বলিং হিসাবে ব্যবহৃত হয়। নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্ট থেকে উদ্ধার করা গ্যাম্বলিং মেশিনটি একটি ইলেক্ট্রিক মাহাজং মেশিন; যা গ্যম্বলিংয়ে ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
জানা গেছে, নিউ ড্রাগন চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বিভিন্ন চাইনিজ নাগরিকের আনাগোনা ছিল যারা ওই রেস্টুরেন্টে গ্যাম্বলিং করতো। এছাড়া ওই পণ্যচালান আমদানিতে আন্ডার ইনভয়েসিং করে বিপুল পরিমান শুল্ক ফাঁকিও দেওয়া হয়েছে। আমদানিকারক সাতটি মাহাজং মেশিনের মূল্য ৪৭ হাজার ৮১৫ টাকা ঘোষণা দিয়ে চালান খালাস করে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায় যে, এ ধরনের প্রতিটি ইলেক্ট্রিক মেশিনের মূল্য আড়াই লাখ টাকা করে সাতটি মেশিনের মূল্য আনুমানিক ১৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সেই হিসাবে পণ্যগুলোর আমদানি পর্যায়ে প্রযোজ্য শুল্ক করাদির পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ লাখ ২৫ হাজার টাকা। কিন্তু আমদানিকারক আমদানি পর্যায়ে মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে ৯ লাখ ৯৬ হাজার ২৮৫ টাকা শুল্ককর ফাঁকি দিয়েছেন।
এছাড়া ওই আমদানিকারকের আমদানি করা আরও কিছু মাহাজং মেশিনগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই মেশিনগুলো উদ্ধার করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া, উদ্ধার করা পণ্যচালানের শুল্ক ফাঁকির বিষয়ে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।