আবরারের জন্য সহপাঠীদের কান্না, দুপুর অবদি বুয়েটে আসেননি উপাচার্য
৭ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৩২
ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়ছেন ওই শিক্ষার্থীর সহপাঠীরা। সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে ওই শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে হল ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে।
আবরার ফাহাদ শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগ নেতার রুমে জেরা, সিঁড়িতে লাশ
হল সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ‘শিবির’ আখ্যা দিয়ে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (৭) দুপুর ১২ টার দিকে শেরে বাংলা হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাফর ইকবালের কাছে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখতে চান। এ সময় প্রাধ্যক্ষ ফুটেজ দেখাতে গড়িমসি করলে কান্নায় ভেঙে পড়েন কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা বলেন, ‘আপনার ছেলে মারা গেলে তখন আপনি কী করতেন? স্যার! আমাদের জীবনের কী কোনো মূল্য নেই আপনাদের কাছে?’
আরও পড়ুন: বুয়েটের আবাসিক হলে শিক্ষার্থীর মৃতদেহ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন
এদিকে এমন একটি হত্যাকাণ্ডের পর এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আসেননি। এছাড়া মুঠোফোনে কল দিলেও কল ধরছেন না তিনি। দুপুর ১২ টার দিকে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে উপাচার্যকে মোবাইল ফোনে কল দেন প্রাধ্যক্ষ। তখন উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) কল রিসিভ করে উপাচার্য অসুস্থ বলে জানায়। এজন্য তিনি ক্যাম্পাসে আসতে পারবেন না।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ না দেখা পর্যন্ত ও সব হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করা পর্যন্ত কোথাও না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে প্রয়োজনে অনশন করার কথাও বলছেন তারা।
আরও পড়ুন: বুয়েট ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা, ২ ছাত্রলীগ নেতা আটক