ঢাকা: ধর্ষণের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব এ কে এম রেজাউল করিম রতন। আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগরে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ শুনানি শেষে জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন। আসামির পক্ষে অনিমেষ কুমার দাস জামিনের আবেদন করেন।
ধর্ষণ মামলায় বরখাস্ত উপসচিব এবার ধর্ষণচেষ্টা মামলায় কারাগারে
এর আগে, এক ধর্ষণের মামলার আসামি রেজাউল করিম বিভাগীয় তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে তাকে উপসচিবের পদ থেকে বরখাস্ত করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা হাজারীবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজিব হাসান আসামিকে আদালতে হাজির করে মামালর সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। ওই দিন আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠিয়ে বুধবার জামিন শুনানির দিন নির্ধারণ করেন।
গত ৭ অক্টোবর স্থানীয় এক নারী রতনের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ করে মামলা দায়ের করেন। ওই নারী অভিযোগে বলেন, তাকে বিভিন্ন সময় উত্ত্যক্ত করতেন রতন। ঘটনার দিন মধুবাজার এলাকার একটি বাসায় তাকে আলাপ-আলোচনার কথা বলে নিয়ে যান। পরে সেখানে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন আসামি।
পরে শনিবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর মধুবাজার এলাকা থেকে রেজাউল করিম রতনকে গ্রেফতার করা হয়।
রেজাউল করিম রতন মোহাম্মদপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ। ২০১৭ সালে অধ্যক্ষ থাকা অবস্থায় ওই কলেজেরই এক শিক্ষার্থীকে কৌশলে অচেতন করে ধর্ষণ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা তার বিচারের দাবিতে আন্দোলনও করেছেন। তাদের অভিযোগ, শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনা ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে টানা একবছর তাকে ধর্ষণ করেন রেজাউল করিম। ২০১৮ সালে পদোন্নতি পেয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হন তিনি।
ওই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী মামলা করলে বিভাগীয় তদন্তে দোষী সাব্যস্ত করা হয় রেজাউল করিমকে। পরে তাকে সাময়িক বরখাস্তও করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে ওই মামলায় জামিন পেয়ে তিনি ফের ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর ওপর হামলা করেন। ওই হামলার ঘটনাতেও একটি মামলা দায়ের হয় তার বিরুদ্ধে।