Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শিশু তুহিন হত্যার বিচার হবে দৃষ্টান্তমূলক: আইনমন্ত্রী


১৬ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০১

ঢাকা: সুনামগঞ্জের ৫ বছরের শিশু তুহিন হত্যার বিচার এমন হবে যাতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি।

সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়া হত্যা ঘটনাকে পৈশাচিক উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ ঘটনার বিচার এমন হবে যাতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকে। ভবিষ্যতে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটানোর চিন্তা কোনো মানুষের মাথায় যেন না আসে। তিনি বলেন, শুধু আইন দিয়ে এ ঘটনার বিচার করা যাবেনা। সামাজিকভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সমাজকে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের প্রশ্ন তোলেন সাংবাদিকরা। জবাবে আনিসুল হক জানান, একটা ফৌজদারি মামলা এজাহার দিয়ে শুরু হয়, তারপর তার তদন্ত হয়। এর পরের ধাপে আসে অভিযোগপত্র। আববার হত্যা মামলা এখন তদন্তাধীন। সরকার থেকে বলা হয়েছে এ মামলা দ্রুত বিচার কাজ শুরু করতে। শিগগিরই অভিযোগপত্রও আসবে। এরপর প্রসিকিউশন তা গ্রহন করবে। এজন্য প্রসিকিউশন টিম পুরোপুরি প্রস্তুত।

‘হত্যা করতে ঘুমন্ত তুহিনকে কোলে করে বাইরে নিয়ে যান বাবা’

ঘর থেকে তুলে নিয়ে ৫ বছরের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা

শিশু তুহিন হত্যায় মায়ের মামলা, বাবা-চাচাসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ

এ সময় ফেনীর সোনাগাজিতে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নুসরাত হত্যা প্রসঙ্গেও কথা বলেন আইনমন্ত্রী। বলেন, নুসরাত হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে জনগনের দাবি এবং সরকারের অঙ্গিকার ছিল। সে অনুযায়ী সরকার এ হত্যাকান্ডের বিচার দ্রুত এগিয়ে নিয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণা করবে আদালত।

বিজ্ঞাপন

তবে সাংবাদিক দম্পতি সাগর- রুনি ও তনু হত্যা মামলা ধীরগতি কেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ওই মামলা দুটির তদন্ত শেষ করতে পারেনি পুলিশ। তিনি কেবল বিচারকাজ শুরু হওয়া মামলা সম্পর্কেই বলতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।

এর আগে, ইইউ রাষ্ট্রদূত রেনজি তিরিং এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন আইনমন্ত্রী। এসময় তিনি ইইউ প্রতিনিধি দলের কাছে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরেন। বৈঠকে বাংলাদেশে শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা দেখতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বৈঠকে বেশ কয়েকটি হত্যা ও হত্যা মামলার প্রসঙ্গও তোলেন ইইউ প্রতিনিধি দলের কর্মকর্তারা।

এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী তাদের জানান, সরকার মানবাধিকার রক্ষায় যথেষ্ট সচেতন। সরকার তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করছে। আইনমন্ত্রী তখন ফেনীর মাদ্রাসার সাবেক ছাত্রী নুসরাত হত্যার উদাহরণ টেনে ইইউ কর্মকর্তাদের বলেন, ওই মামলায় টানা আড়াই মাস ধরে গণমাধ্যম সক্রিয় ছিলো। জনগণ বিচারের দাবীতে ফুঁসে উঠেছিলো আর সরকারের অঙ্গিকার ছিলো সুষ্ঠু বিচার করা। সরকার তা দ্রুত সময়ের মধ্যেই শেষ করতে পেরেছে। তুলে ধরেন সরকারের ইচ্ছায় বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলা কিভাবে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে।

এ সময় শ্রম আইন নিয়েও কথা বলেন ইইউ প্রতিনিধিরা। জানতে চান সরকার কিভাবে শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে বা ভবিষ্যতে করবে। সে প্রশ্নে আইনমন্ত্রী উল্টো তাদের কাছে জানতে চান, ইইউ শ্রম অধিকার প্রতিষ্ঠা কেমন দেখতে চায়, সে বিষয়ে কি কি সুপারিশ রয়েছে তাদের। এসবের একটি রূপরেখাও সরকারকে দিতে বলেন আইনমন্ত্রী। ওই রূপরেখার সঙ্গে সরকারের নেওয়া উদ্যোগ মিলিয়ে দেখে, কোথায় অসঙ্গতি রয়েছে তা বের কর সংশোধন করার কথা বলেন আইনমন্ত্রী।

আইনমন্ত্রী শিশু তুহিন হত্যা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর