চিলিতে গণআন্দোলন: গার্মেন্টস কারখানায় আগুন, মৃত ৫, আটক ১৪০০
২১ অক্টোবর ২০১৯ ১০:১৬
চিলিতে মেট্রোরেলের ভাড়া বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, বিদ্যমান অসমতার বিরুদ্ধে চলতে থাকা গণআন্দোলনে দ্বিতীয় রাতে কারফিউ ভঙ্গ করেছে আন্দলনকারীরা। রোববার (২০ অক্টোবর) আন্দোলন চলাকালীন রাজধানী সান্তিয়াগোর অদূরে একটি গার্মেন্টস কারখানায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতিকারীরা। আগুনে মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। আন্দোলন থেকে আটক করা হয়েছে ১৪০০ জনকে। খবর বিবিসির।
আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও জল কামান ব্যবহার করেছে এবং প্রধান প্রধান শহরগুলোতে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করা হয়েছে।
এর আগে, সরকারি কর্মকর্তাদের সাথে জরুরি এক বৈঠক শেষে চিলির প্রেসিডেন্ট সেবেস্তিয়ান পিনেরা আন্দোলন ঠেকাতে সরকারি উদ্যোগের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, গণতন্ত্র শুধুমাত্র অধিকারের কথাই বলে না, বরং এর ভেতরে বিদ্যমান উপাদানগুলোর মাধ্যমে নিরাপত্তার কথাও বলে। তাই যারা আইনভঙ্গ করবে তাদের ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে আইনের শাসন সমুন্নত রাখা হবে।
শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) থেকে পাঁচটি প্রদেশে কারফিউ জারি করা থাকলেও আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি চালিয়ে গেছেন।
প্রসঙ্গত, ১৯৯০ সালে অগাস্টো পিনোশের একনায়কতন্ত্র থেকে গণতন্ত্রে ফিরে আসে চিলি। তারপর থেকে এই প্রথম হাজার হাজার সৈন্য ট্যাংক নিয়ে চিলির রাস্তায় নেমেছে।
এদিকে, রোববারও (২০ অক্টোবর) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লুটতরাজ চলেছে। গণপরিবহনে আগুন, মেট্রো স্টেশন ভাঙচুর এবং দাঙ্গা পুলিশের সাথে সংঘর্ষ চলেছে।
সান্তিয়াগোতে কোন গণপরিবহন চলেনি, নির্ধারিত ফ্লাইটগুলো বাতিল করা হয়েছে, দোকানপাট বন্ধ ছিল।
উল্লেখ করা যায় যে, গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখোমুখি চিলি। এই অঞ্চলের সবচেয়ে সম্পদশালী দেশ হওয়ার পরেও সবচেয়ে বেশি অসমতা চিলিতে বিদ্যমান। তাই আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে অর্থনৈতিক সংস্কারের দাবি তোলা হয়েছে ।