যুবকের লাশ টুকরো করে দুই জেলায় ফেলে দেওয়া হয়
৩০ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:০৪
ময়মনসিংহ: বোনকে উত্ত্যক্ত করায় যুবককে হত্যা পরে তার লাশ টুকরো করে দুই জেলায় ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেন।
সম্প্রতি কুড়িগ্রামে হাত-পা এবং ময়মনসিংহে লাগেজের ভেতরে মানবদেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর ময়মনসিংহের কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) সকাল ১১টায় ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাহ আবিদ হোসেন এ তথ্য জানান।
এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় গত ২৮ অক্টোবর চারজনকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন— ফারুক মিয়া (২৫), তার ভাই হৃদয় মিয়া (২০), বোন সাবিনা আক্তার (১৮) ও তার স্ত্রী মৌসুমী আক্তার (২২)। তাদের বাড়ি নেত্রকোনার পূর্বধলার উপজেলার হুগলা এলাকায়।
হত্যার শিকার যুবকের নাম মো. বকুল (২৮)। বকুল হুগলা এলাকার ময়েজ উদ্দিনের ছেলে।
শাহ আবিদ হোসেন জানান, কুড়িগ্রামে মানবদেহের খণ্ডিত অংশের পাশে একটি ভ্যানিটি ব্যাগ পাওয়া গিয়েছিল। সেই ব্যাগে একটি চিরকুট ছিল। ওই চিরকুটের সূত্র ধরে তদন্ত এগিয়ে চলে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চারজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এর আগে:
সন্দেহজনক লাগেজে মিলল যুবকের মৃতদেহ
পুকুর পার থেকে খণ্ডিত পা উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ