ক্লাস-পরীক্ষায় ফিরতে ৩ দফার বাস্তবায়ন চান বুয়েট শিক্ষার্থীরা
১৪ নভেম্বর ২০১৯ ১৮:৫৬
ঢাবি: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত চার্জশিটভুক্ত সকল আসামির স্থায়ী বহিষ্কারসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে তারা ক্লাস-পরীক্ষায় বসবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে চারটার দিকে বুয়েট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব দাবি তুলে ধরেন। শিক্ষার্থীরা এই দাবিগুলো গত ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও জানিয়েছে।
দ্রুততার সঙ্গে চার্জশিট তৈরি করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ২৫ আসামির মধ্যে চারজন এখনও পলাতক আছে উল্লেখ করে তাদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে নেওয়ার দাবি জানান।
বুয়েটের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নতুন তিন দফা দাবিগুলো হলো- চার্জশিটের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের স্থায়ী বহিষ্কার করা। আহসান উল্লাহ, তিতুমীর ও সোহরাওয়ার্দী হলের র্যাগের ঘটনায় অভিযুক্তদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া। সাংগঠনিক রাজনীতি ও র্যাগের জন্য সুস্পষ্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরি ভাগ করে শাস্তির নীতিমালা করে বুয়েট একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট থেকে অনুমোদন করে অর্ডিনেন্সে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য পরবর্তী ধাপগুলোতে প্রেরণ করা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সিএসসি ১৬ ব্যাচের অনিরুদ্ধ গাঙ্গুলি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘১ ও ২ নম্বর দাবি পূরণ হলে আমরা আসন্ন টার্ম ফাইনাল পরীক্ষার তারিখ গ্রহণ করতে সম্মত হব। এবং টার্ম ফাইনাল শুরু হওয়ার অন্তত সাতদিন আগে তিন নম্বর দাবি পূরণ হলে আমরা পরীক্ষায় বসব। অন্যথায় বুয়েট প্রশাসন আন্তরিক না এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার্থে ব্যর্থ হয়েছে বলে আমরা ধরে নেব। সেক্ষেত্রে আমরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে অসম্মতি জানাব।’
লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, ‘বুয়েটের একাডেমিক ও পরীক্ষা কার্যক্রম শুরুর ব্যাপারে আমরাও চিন্তিত এবং দ্রুত সময়ে আমরা নিয়মিত কার্যক্রমে ফিরতে চাই। এজন্য আমরা গত ১৫ অক্টোবর মাঠ পর্যায়ের আন্দোলন থেকে সরে এসেছি।’
প্রশাসনের সঙ্গে বারবার আলোচনার মাধ্যমে ও তাদের পর্যাপ্ত সময় দিয়ে বুয়েটে একটি সুস্থ্য ও নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে তারা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে যাচ্ছেন বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এ বিষয়ে বুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা আইনজীবীর মাধ্যমে চার্জশিটের কপি তোলার চেষ্টা করছি। সেটি হাতে আসলে আমরা তদন্ত কমিটির কাছে দেব। তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।