‘উপকূলে স্বাস্থ্যসেবা সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ’
২২ নভেম্বর ২০১৯ ০৮:৫৯
ঢাকা: বাংলাদেশের উপকূলবর্তী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা সংকট মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম। সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রত্যন্ত এলাকাগুলোতেও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো সম্ভব বলে মনে করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য অত্যাবশ্যকীয় স্বাস্থ্যসেবা’ শীর্ষক এক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড। আয়োজকরা জানান, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের তত্ত্বাবধানে ইউকে এইডের সহযোগিতায় সাড়ে তিন বছর মেয়াদি (২০১৯-২০২২) এ প্রকল্পের সহায়তায় বরিশাল বিভাগের বরগুনা, ভোলা ও পটুয়াখালী এবং খুলনা বিভাগের বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরাসহ মোট ৯টি উপজেলা ও আটটি পৌরসভায় স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আমিনুল হাসান (হাসপাতাল ও ক্লিনিক)। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকূলবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানো সহজ হবে।
অনুষ্ঠানে দাতা সংস্থা ইউকে এইডের বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জুডিথ হারবার্টসন বলেন, উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে যুক্তরাজ্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবাপ্রাপ্তির সুযোগ উন্নীত করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করে চলেছে। এ ধারাবাহিকতায় নতুন এই প্রকল্পে ইউকে এইড অংশ নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রোগব্যাধি ও মৃত্যুহার কমিয়ে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা পরিধি বাড়ানোর মাধ্যমে প্রতিবন্ধীসহ সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য, পরিবার-পরিকল্পনা ও পুষ্টির উন্নয়ন এ প্রকল্পের লক্ষ্য। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস করা সুবিধাবঞ্চিত প্রায় ২৬ লাখ মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাবেন এ প্রকল্পের মাধ্যমে।
এসময় আয়োজকরা উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবার সংকট মোকাবিলায় করণীয়গুলো তুলে ধরেন। বিভিন্ন পরিকল্পনার কথাও জানান তারা।