রুম্পাকে হত্যার পর ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়, সন্দেহ ডিবির
৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৬:১২
ঢাকা: স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পাকে হত্যার পর ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয় বলে ধারণা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। এ কারণে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটক রুম্পার বন্ধু আবদুর রহমান সৈকতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন বলে মনে করছে ডিবি। সৈকতকে রিমান্ড আবেদনে ডিবির পক্ষ থেকে এ সন্দেহের কথা জানানো হয়েছে।
রোববার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সৈকতকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করে ডিবি। রিমান্ড শুনানি শেষে বিকেলে রুম্পা হত্যা মামলার আসামি সৈকতকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।
ডিবির পক্ষ থেকে আদালতে পাঠানো রিমান্ড ফরওয়ার্ডিং আবেদনের একটি কপি সারাবাংলার হাতে এসেছে। ওই রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, রুম্পার সঙ্গে সৈকতের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্কের ইতি টানতে চেয়েছিলেন সৈকত। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে বিরোধ তৈরি হলে সৈকত তার সহযোগীদের নিয়ে রুম্পাকে সিদ্ধেশ্বরীর ভবনের ছাদে নিয়ে যান। হত্যার পর একপর্যায়ে রুম্পাকে ওই ভবনের ছাদ থেকে ফেলে দেন তারা।
রুম্পার রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্ত করছেন ডিবির রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক শাহ মো. আকতারুজ্জামান ইলিয়াস। প্রাথমিক তদন্তের বিষয়ে ডিবির পরিদর্শক আদালতকে জানান, রুম্পা ও সৈকতের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু দিন দিন তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
আদালতে ডিবি জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর বিকেলে রুম্পা ও সৈকত স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বাইরে দেখা করেন। তখন কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই রুম্পার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা বলেন সৈকত। রুম্পা বারবার অনুরোধ করলেও সৈকত সম্পর্ক রাখতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ নিয়ে দুজনের মনোমালিন্য ও বিরোধ চরম আকার ধারণ করে।
এই বিরেধের জের ধরে ওই দিন রাতে সৈকত তার কয়েকজন সহযোগী মিলে রুম্পাকে সিদ্ধেশ্বরীর ৬৪/৪ নম্বর বাসায় নিয়ে যান। সেখানে হত্যার পর রুম্পাকে ওই বাসার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। এটিই প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হচ্ছে। এ কারণে তাকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন
রুম্পার প্রেমিক সৈকতকে ৭ দিনের রিমান্ডে চায় পুলিশ
রুম্পা হত্যায় বন্ধু সৈকত আটক
রুম্পার বাড়িতে শোকের মাতম, বিচার চান স্বজন
রুম্পার ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আগামী সপ্তাহে
ধর্ষণ, হত্যা নাকি আত্মহত্যা? রুম্পার মৃত্যু রহস্য জানতে বিক্ষোভ
সিদ্ধেশ্বরীতে উদ্ধার হওয়া তরুণীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে