বিশ্বব্যাপী মিয়ানমারকে বয়কটের ডাক রোহিঙ্গা মুক্তি জোটের
১০ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৯:০৭
দ্য হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গাম্বিয়ার দায়ের করা গণহত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। গাম্বিয়ার পক্ষ থেকে কানাডা, নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের সহযোগিতায় মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সামরিক বাহিনীর চালানো হত্যা, ধর্ষণ ও লুন্ঠনের স্পষ্ট প্রমাণ দাখিল করা হচ্ছে আদালতে। পাশাপাশি বৈশ্বিকভাবে মিয়ানমারের ওপর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সাংস্কৃতিক চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে সোমবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে দেশটিকে সর্বস্তরে বয়কটের ডাক দিয়েছে রোহিঙ্গা মুক্তি জোট (এফআরসি)। খবর আল জাজিরা।
আরও পড়ুন- মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি মঙ্গলবার থেকে
আরও পড়ুন- মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলায় কানাডা-নেদারল্যান্ডসের সমর্থন
রোহিঙ্গা মুক্তি জোট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ১০ দেশের ৩০ সংগঠনের প্রাথমিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে মিয়ানমার বয়কট ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে। ওই সংগঠনগুলোর মধ্যে মিয়ানমারের সাথে করপোরেশন, বৈদেশিক বিনিয়োগ, পেশাদার এবং সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে সম্পর্কিত অনেকগুলো রয়েছে।
এ ব্যাপারে, রোহিঙ্গা মুক্তি জোটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রো নে সান লুইন আল জাজিরাকে জানিয়েছেন, বার্মিজ সহ নাগরিকদের বিপদে ফেলতে নয় বরং সেনাবাহিনী ও সরকারের এ যাবৎ করে আসা ভুলের মাশুল হিসেবেই মিয়ানমারের বিরুদ্ধে এই বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা মুক্তি জোট অবশ্যই মিয়ানমারকে উন্নত এবং সমৃদ্ধশালী দেখতে চায় কিন্তু তার নামে গণহত্যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
আরও পড়ুন-গণহত্যার অভিযোগ: হেগের উদ্দেশে সু চি
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের লক্ষ্য করে অভিযান চালায় দেশটির সেনাবাহিনী। ওই অভিযানে রোহিঙ্গা মুসলিমদের হত্যা, ধর্ষণ ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠনের অভিযোগ উঠে। অভিযানের মুখে ১১ লাখ রোহিঙ্গা সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। সে সময় মিয়ানমারের সেনাসদস্য, পুলিশ ও বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারী রোহিঙ্গাদের নিধনে সরাসরি অংশ নিয়েছে বলে জাতিসংঘের তদন্তে প্রমাণ মিলেছে।
আরও পড়ুন-রোহিঙ্গা গণহত্যা: সেনা সদস্যদের বিচারে মিয়ানমারে কোর্ট মার্শাল
আরও পড়ুন-আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলা
আন্তর্জাতিক আদালত বয়কট মিয়ানমার রাখাইন রোহিঙ্গা রোহিঙ্গা মুক্তি জোট