Friday 06 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানালো সর্বস্তরের মানুষ


১৪ ডিসেম্বর ২০১৯ ১০:৩৩

ঢাকা: শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার বধ্যভূমি ও মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা জানালো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। ভোরের সূর্য ওঠার আগেই হালকা শীতের সকালের আলসেমিকে পাশ কাটিয়েই জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে আসেন সর্বস্তরের মানুষ। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই ছিলেন এই কাতারে। শ্রদ্ধা জানাতে এসে তারা স্মরণ করেন বিজয়ের আগ মুহূর্তে বুদ্ধিজীবী হত্যার নৃশংস ঘটনাকে।

শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল রায়েরবাজার বধ্যভূমি খুলে দেওয়া হয় সর্ব সাধারণের জন্য। তবে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধার জানানোর পর।

এরপর শ্রদ্ধা জানাতে আসা সবার হাতে ছিল ফুলের তোড়া ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে লেখা কালো ব্যানার। বিজয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে আজকের দিনে জাতির মেধাবী সন্তানদের হত্যার বিচার দাবি করেন তাদের পরিবার ও স্বজনরা।

পরিবারের সঙ্গে মোহাম্মদপুর থেকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী আদ্রিতা। সারাবাংলাকে আদ্রিতা জানায়, বাবা-মার কাছে সে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের ইতিহাস জেনেছে। তৃতীয় প্রজন্মের শিশু হিসেবে সে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে। সেও বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার চায়।

বধ্যভূমির পাশের এলাকা পুলপার থেকে পরিবারের সঙ্গে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছে তাসফি। অষ্টম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী জানায়, প্রতিবছরের মতো এবারও সে বাবার সঙ্গে এসেছে। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পুরো ঘটনা জানা আছে তার। বুদ্ধিজীবীদের হারিয়ে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছে তা ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পূরণ করবে বলে প্রত্যাশা তাসফির।

শ্রেষ্ঠ মন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন। বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের বিচার প্রসঙ্গে মোহাম্মদপুরের এই বাসিন্দা বলেন, ‘এই বিচার অবশ্যই করতে হবে। বিচার হবেই হবে। হয়তো একটু সময় লাগবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বিচার হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’

বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বধ্যভূমিতে বাড়তে থাকে জনতার স্রোত।

১৯৭১ সালে বিজয়ের দুইদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর রাজাকার-আলবদরদের সহযোগীতায় পাক হানাদার বাহিনী বেছে বেছে দেশের শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, দার্শনিক ও সংস্কৃতিদের বাড়ি থেকে মিথ্যে বলে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের পর রায়েরবাজারের পরিত্যক্ত ইটখোলা, মিরপুরসহ বিভিন্ন বধ্যভূমিতে একে একে পাওয়া যায় হাত-পা-চোখ বাঁধা দেশের খ্যাতিমান বুদ্ধিজীবীদের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ। এ ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় বিশ্ববিবেকও।

আরও পড়ুন:

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

আইনগত বাধায় পালিয়ে থাকা খুনিদের ফেরানো যাচ্ছে না: কাদের

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

‘সংগ্রামের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’

কাদের মোল্লাকে ‘শহীদ’ বলা সমর্থনযোগ্য নয়: জি এম কাদের

মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে হাজারও মানুষের শ্রদ্ধা

গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের

১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস টপ নিউজ শহীদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধা জানাতে জাতি


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর