Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

হঠাৎ শীতে চড়া গরম কাপড়ের বাজার


২০ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:১৫

ঢাকা: হঠাৎ করেই রাজধানীতে বেড়েছে শীত। তিন দিন ধরে দেখা নেই সূর্য মামার। আচমকা শীত বাড়ায় রাজধানীতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম পড়েছে, সঙ্গে বেড়েছে দামও। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। আবহাওয়া অধিদফতরও জানিয়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহ রোববারের আগে কাটবে না।

রাজধানীর নিউমার্কেট, গুলিস্তান, মৌচাক, রামপুরা, নতুনবাজার এলাকা ঘুরে দেখা গেছে শপিংমল থেকে ফুটপাত সবখানে গরম কাপড়ের দোকানে ভিড়। চাহিদামতো মানুষ বিভিন্ন ধরনের গরম পোশাক যেমন— সোয়েটার, কম্বল, জ্যাকেট, হাত মোজা, পা মোজা, মাফলার, কানটুপি কিনছেন। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই বলছেন, ‘শীত বাড়ার সঙ্গে গরম কাপড়ের দামও বেড়েছে।’

বিজ্ঞাপন

নিউমার্কেটের সমানে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রেতা শাহ আলম জানান, গত দু’দিন ধরে শীতের পোশাকের চাহিদা বেশি। এ কারণে শীতের পোশাক বিক্রি করছি। গায়ের পোশাকের পাশাপাশি কম্বলের চাহিদাও বেড়েছে। বেচা-বিক্রিও ভালো বলেই জানান তিনি।

মহানগর প্রজেক্টের বাসিন্দা আইমান জাহিদ নিউমার্কেটে শীতের পোশাক কিনতে এসেছেন। তিনি জানান, শীত বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড় কিনতে হচ্ছে। আলসেমির কারণে প্রথমদিকে না কেনায় এখন বেশি দাম দিতে হচ্ছে।

গুলিস্তানের হকার্স মার্কেটের দোকানদার দেলোয়ার হোসেন জানান, গত দু’দিনে প্রায় ৪০০ কম্বল বিক্রি করেছেন। গত বৃহস্পতিবার থেকে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে।

কম্বল ক্রেতা সিরাজুল ইসলাম জানান, দুই দিনে ছোট কম্বল প্রতি কম করে হলেও ১০০ থেকে ২০০ টাকা করে দাম বেড়েছে। ছোট কম্বলগুলো গত পরশু ২২০ টাকা চাইলেও আজ সেগুলো সাড়ে তিনশ টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। শীত বাড়ায় ব্যবসায়ীদের পকেট মোটা হচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

নিউমার্কেটের মক্কা লেদার স্টোরের কম্বল বিক্রেতা মাহমুদ জানান, শীতে সব সময় উলের কম্বলের চাহিদা বেশি। সাধারণত চায়না ও কোরিয়ার কম্বল বেশি বিক্রি হয়। এসব কম্বল পাওয়া যায় এক হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে।

বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ছেলে-মেয়েদের জন্য দেশি গার্মেন্টসের সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকার মধ্যে। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের জ্যাকেট, ভারী সোয়েটার বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার থেকে চার হাজার টাকায়। হাত-পা মোজা, কানটুপি, মাফলার মিলছে ৪০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে।

এদিকে ফুটপাতের দোকানে কম মূল্যে শীতের পোশাক পাওয়ায় শ্রবজীবী মানুষের ভিড় সেখানেই বেশি। রিকশাচালক তমিজ মিয়া বলেন, ‘রিকশা চালালে শরীর গরম থাকলেও কান আর হাত অনেক ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এ কারণে হাত মোজা ও কানটুপি কিনলাম।’

গরম কাপড় গরম কাপড় বিক্রির ধুম বেড়েছে শীত