পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ: আলমগীরের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন
২১ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:০৬
ঢাকা: থানায় পুলিশি নির্যাতনে মৃত আলমগীর হোসেনের (৩৮) ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশের মারপিটের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেরর ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘আলমগীর নামে এক ব্যক্তির ময়নাতদন্ত করেছি। আমরা তার পশ্চাৎদেশে আঘাতের চিহ্ন পেয়েছি। যা বাড়ির আঘাতের মত মনে হয়েছে। এছাড়া তার হার্টও বড় ছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে তার হার্টের সমস্যা ছিল ‘
‘ওই যুবকের হার্টের নমুনা সংগ্রহ করে হিস্ট্রোপ্যাথলোজিতে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত বলা যাবে’, বলেও জানান ডা. সোহেল মাহমুদ।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ১৯ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে কারারক্ষী মো. রবিউল ইসলাম। তিনি জানান, হাজজি হিসেবে সে কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিল। বিকালে কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আলমগীরের গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধা সদরে। তার বাবার নাম নুরুল ইসলাম। সে উত্তরা ১০ নম্বর সেক্টরের শেষ মাথায় ফুলবাড়িয়া এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতো এবং ৭নম্বর সেক্টরে এক মালিকের গাড়ি চালাতো।
পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ
আলমগীরের বড় ভাই আব্দুর রাজ্জাকের অভিযোগ, ‘১৬ ডিসেম্বর রাতে ডিউটি শেষ করে বাসায় ফেরার পথে ১১ নম্বর সেক্টর থেকে সন্দেহজনকভাবে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ১৭ ডিসেম্বর সকালে রাজ্জাকের স্ত্রী আলো খাতুনসহ থানায় যাই। তখন আলমগীরকে গাড়িতে তুলে আদালতের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। আলমগীর হাঁটতে পারছিল না। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছিল। কিন্তু আলমগীর তো সুস্থ ছিল।’
রাজ্জাক বলেন, ‘আমার ভাইকে থানায় মারধর করেছে। আর এ কারণেই সে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। বিকেলে জানতে পারি, ভাইকে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পরে সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে আলমগীরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই।’