Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ


২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:৩৮

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরসহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে দায়ের করা হত্যাচেষ্টার মামলা শাহবাগ থানাকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী ডি এম সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলাটি দায়ের করেছিলেন। মামলায় আরও ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মামলার এজাহারটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আসে। এরপর ঢাকা মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল এজাহারটি গ্রহণ করে শাহবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আরিফুর রহমানকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।

বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ডি এম সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ডাকসু ভিপি নুর ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন— সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, মুহাম্মদ রাশেদ খান, মশিউর রহমান, আবু হানিফ, এ পি এম সুহেল, আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, আমিনুল ইসলাম, তুহিন ফারাবী (চাটার্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ), মেহেদী হাসান, সালেহ উদ্দিন সিফাত (জসীম উদ্দিন হল), নাজমুল হাসান, আয়াতুল্লাহ বেহেশতী, রবিউল হোসেন, আরিফুর রহমান, সাইফুল ইসলাম, আরিফুর রহমান, বিন ইয়ামিন মোল্লা (এ এফ রহমান হল), তরিকুল ইসলাম (এ এফ রহমান হল), আব্দুল্লাহ হিল বাকী (মুহসীন হল), আকরাম হোসেন (এ এফ রহমান হল), আসিফ খান (বিজয় একাত্তর হল), সানাউল্লাহ হক (জিয়া হল), আতাউল্লাহ (শহীদুল্লাহ হল), শাকিল মিয়া (মুহসীন হল), হাসানুল বান্না (বিজয় একাত্তর হল), রবীরুল ইসলাম, রাজ, আরিফুল ইসলামসহ আরও অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন।

বাদীর অভিযোগে বলা হয়, ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে ঢাবি রাজু ভাস্কর্য এলাকায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মামুন-বুলবুল গ্রুপের ৩৫/৪০ জন নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে টেলিনরের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি বরাবর উকিল নোটিশ প্রদানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচি ছিল। সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করে মামুন-বুলবুলের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মধুর ক্যান্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়।

বিজ্ঞাপন

অভিযোগে আরও বলা হয়, ওই সময় বাদীসহ ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনসহ আরও ৩০/৩৫ জন স্যার ফজলে হাসান আবেদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়ে মধুর ক্যান্টিনের সামনে ১২টা ৪০ মিনিটের পৌঁছাই। সেখানে ডাকসু ভবনের সামনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মী ও ডাকসুর ভিপি নুরসহ তার অনুসারী ৪০/৪৫ জন নেতাকর্মীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। একপর্যায়ে নুর কেন উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক স্লোগান কেন দিচ্ছে— সনজিত-সাদ্দাম তা জানার জন্য নুরের কাছে যায়।

এজাহারে বলা হয়, নুরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাদের দু’জনের উদ্দেশে ফের উসকানিমূলক স্লোগান দেয় এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে মারধর করতে উদ্যত হয়। পরিস্থিতি খারাপ দেখে তারা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের সরিয়ে দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করার সময় আসামি নুরসহ ২৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১৫/২০ জন তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোটা ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আঘাত করে এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) পুলিশ বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আল মামুন, এ এস এম সনেট, ইয়াসির আরাফাত তুর্য, ইমরান সরকার, ইয়াদ আল রিয়াদ, মাহবুব হাসান নিলয়, তৌহিদুল ইসলাম মাহিম। মামলায় আরও অজ্ঞাত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) আল মামুন ও ইয়াসির আরাফাত তুর্যকে আটক করে পুলিশ। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়েরের পর ওই মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার আরেক আসামি মেহেদী হাসান শান্তকে গ্রেফতার করা হয় মঙ্গলবার দুপুরে। তাদের আদালতে উপস্থাপন করা হলে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

একই ঘটনায় ডাকসু ভিপি নুর নিজেও শাহবাগ থানায় ৩৭ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসকে এক নম্বর ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসাইনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে মামলায়।

ডাকসু ভিপি নুরের বিরুদ্ধে মামলা ভিপি নুর মহানগর হাকিম মামলা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর