ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেটের ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি ২১ শতাংশ
২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ২০:৩৫
ঢাকা: নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের সুফল আসতে শুরু করেছে। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে ২১ শতাংশ বেশি ভ্যাট আদায় করেছে। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
কমিশনারেটের হিসাব অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর মেয়াদে ভ্যাট আহরণ হয়েছে ৯৪৪ কোটি টাকা। গত বছর একই সময় আদায় হয় ৮১৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ বেশি আদায় হয়েছে ১২৭ কোটি টাকা ভ্যাট। ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট ভ্যাট আইন পরিপালনেও সমান গুরুত্ব দিয়েছে। যার সুফল হিসেবে এই সফলতা বলে মনে করছে কমিশনারেট।
ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেট অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন দাখিলেও এগিয়ে আছে। ভ্যাট অনলাইনের হিসাব অনুসারে নভেম্বর ২০১৯ এ সারাদেশে অনলাইনে দাখিলকৃত রিটার্নের সংখ্যা ২ হাজার ৪০৪টি। দেশের ১২টি ভ্যাট অঞ্চলের মধ্যে ঢাকা পশ্চিমের ৭৫৫টি, যা প্রায় ৩২ শতাংশ। যা অনলাইন রিটার্ন দাখিলে এই সংখ্যা এককভাবে সর্বোচ্চ।
অপরদিকে, অনলাইনে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনেও ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে। বিভিন্ন সেবা ও পণ্য মিলে ১৪ হাজার ৪৫৫টি প্রতিষ্ঠান নতুন ভ্যাট আইনে ১৩ ডিজিটের নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। অনলাইনে নিবন্ধনে দ্রুত সেবা নিশ্চিতকরণসহ লক্ষ্যে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। কোথাও কোন অভিযোগ পেলে তা দ্রুত নিষ্পত্তি করছে কমিশনারেট।
অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন গ্রহণ ও রিটার্ন জমা দিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ইতিবাক এতে তারা হয়রানির অভিযোগ থেকেও মুক্ত থাকতে পারছেন বলে মনে করছেন ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খান। তিনি বলেন, ‘ভ্যাট আইন পরিপালনের দিকে নজর দিলে ভ্যাট আদায়ে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা আসবে। নতুন আইনের মূল উদ্দেশ্য অনুসারে ভ্যাটে রাজস্ব আহরণও বৃদ্ধি পাবে। নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়নের শুরুর দিকে কতিপয় চ্যালেঞ্জ থাকলেও ঢাকা পশ্চিম ভ্যাট কমিশনারেট তা কাটিয়ে উঠতে নানাবিধ তত্পরতা নেয়। ফলে এই রাজস্ব আহরণের সফলতা আসতে শুরু করেছে। অর্থবছর শেষে এই আইন বাস্তবায়নের সুফল আরও দৃশ্যমান হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন আইনটি ব্যবসাবান্ধব করার ফলে ব্যবসায়ীরাও সুবিধা পাচ্ছেন। ভ্যাট দেওয়ার সুবিধার্থে এবং নতুন বাণিজ্যিক বাস্তবতায় ঢাকা পশ্চিম থেকে ১৫৫টি প্রতিষ্ঠান অন্যত্র কেন্দ্রীয় নিবন্ধনের আওতায় স্থানান্তর হয়েছে। তাদের হিসাব সংরক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধার কথা বিবেচনা করে এই স্থানান্তর ঘটেছে। নতুন আইনেই এই সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এই স্থানান্তরের ফলে ঢাকা পশ্চিমের রাজস্ব কমে গেলেও ব্যবসায়ীদের সুবিধা হয়েছে। তবে কমে যাওয়া রাজস্ব অন্য অঞ্চলে যুক্ত হবে। কোনভাবেই ভ্যাট ফাঁকি হওয়ার সুযোগ থাকবে না।’
এছাড়া অডিট ও এনফোর্সমেন্টের মাধ্যমে কঠোর মনিটরিং করা হচ্ছে। আগামি মাস থেকে ইএফডি মেশিন চালু হলে নতুন আইনে ঢাকা পশ্চিমের ভ্যাট সংগ্রহে আরও স্বচ্ছতা আসবে বলেও জানান ঢাকা পশ্চিমের এই কমিশনার।