Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

তিন সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী


১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৭:২০

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের মানুষের জন্য তিনটি সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সুখবরগুলো হলো আকাশ পথে লন্ডন রুটে বাংলাদেশের কার্গো সার্ভিস শুরু হওয়া, ফোরজি যুগে প্রবেশ হওয়া এবং আগামী মার্চে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।

আর্ন্তজাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) গভর্নিং কাউন্সিলের ৪১তম বার্ষিক বৈঠক দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী। সোমবার বিকেলে গণভবনে আয়োজিত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় মোবাইল ফোন দুষ্প্রাপ্য ছিল। আজ বাংলাদেশে ১৩ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহার হচ্ছে। এতদিন আমরা থ্রিজিতে ছিলাম। আর আজ থেকে আমরা ফোরজি যুগে প্রবেশ করলাম। ফোরজি তথ্য প্রযুক্তি মহাসড়কে আরও একটি মাইলফলক হলো। তিনি জানান, আমাদের আরও একটি সুখবর রয়েছে। লন্ডনে আমাদের কার্গো সার্ভিস বন্ধ ছিল, এটা চালু হয়েছে। ফলে আমাদের দেশের ব্যবসায়ীদের অনেক সুবিধা হবে। এছাড়া আগামী মার্চে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে।

দয়া করে খুঁজে দিন, কে প্রশ্ন ফাঁস করে : প্রধানমন্ত্রী
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীরা প্রশ্নপত্র হাতে পায়। এই অল্প সময়ের মধ্যে এমন মেধাবী পরীক্ষার্থী কে আছে, যে চট করে প্রশ্ন দেখেই মুখস্ত করে ফেলতে পারে। এত ট্যালেন্টেড কে আছে? তিনি বলেন, প্রশ্ন ফাঁস নতুন কিছু না, কখনও প্রচার হয়, কখনও প্রচার হয় না। প্রশ্নপত্র ফাঁস দেশে নতুন কিছু নয়, যুগ যুগ ধরেই এগুলো হচ্ছে। প্রযুক্তি যেমন সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে, তেমনি সমস্যাও সৃষ্টি করে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এক সময় কথা হলো প্রশ্নফাঁসের কারণে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিতে হবে। ইন্টারনেট বন্ধ হলেই যে সব সমাধান হবে, তা তো না! তাহলে মোবাইল ফোনসহ ডিজিটাল পদ্ধতি বন্ধ করে দিতে হবে। দেশে এখন সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ হয় প্রযুক্তির মাধ্যমে, তাহলে সেটা বন্ধ করে দিলে দেশের কী অবস্থা হবে? তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, সারাদেশে তো আপনারদের এজেন্ট আছে, আপনারাই একটু খুঁজে বের করে দিন, আমরা শস্তি দেবো। তিনি আরও বলেন, আর এই প্রশ্নফাঁসের জন্য কি শিক্ষামন্ত্রী অথবা সচিব দায়ী? তারা কি কেন্দ্রে গিয়ে প্রশ্নফাঁস করেন? তাহলে তাদের পদত্যাগের কথা আসবে কেন? তবে অবশ্যই কিছু একটা আছে, না হলে এভাবে ছড়াবে কীভাবে? তাই বলছি, আপনারা তাদের ধরে দিন, আমরা শাস্তি দিয়ে দেবো।

 

 

সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন হবে
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিযে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী সময়মতো নির্বাচন হবে। বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন ঠেকানোর চেষ্টা করেছে, পারেনি। এবারও পারবে না। জনগণের ওপর যে দলের আস্থা আছে, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, তারা নির্বাচনে অংশ নেবে। বিএনপি আগামী নির্বাচনে অংশ না নিলে আমাদের কিছুই করণীয় নেই।

খালেদা জিয়াকে কারামুক্ত না করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে না এমন প্রশ্নে জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা তো নতুন কিছু না। ২০১৪ সালের তারা নির্বাচন করবে না বলে, নির্বাচন ঠেকানোর নামে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। তারা ২০১৩, ২০১৪,২০১৫ সালে এই সময়ের মধ্যে তারা প্রায় পাঁচ শয়ের মতো মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে। তিনি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে মানুষের অধিকার। তার সাংবিধানিক অধিকার। এখন বিএনপি বলছে নির্বাচনে যাবে না। তিনি বলেন, রায়টা তো আর আমি দেইনি। রায় দিয়েছেন কোর্ট। এখন তারা নির্বাচনে না গেলে আমাদের কিছুই করার নেই।

বিজ্ঞাপন

কারাগারে গৃহকর্মী ফাতেমা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকে আছেন শুধু দিতেই পারে। আমরা দুই বোন, আমাদের একটা মাত্র বাড়ি। আমার আব্বা সারাজীবন জনগণের জন্য কাজ করেছেন, ওই বাড়িটি তাই জনগণের জন্য দিয়ে দিয়েছি। আমরা ট্রাস্ট করে ১৭০০ থেকে ১৮০০ জনকে সহায়তা করি। আমরা এটা নিয়ে খুব একটা প্রচারও করি না। কেউ যদি এতিমের টাকা আসার পরও মায়া ত্যাগ করতে না পারে, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি বলতে গেলেই তো আমার দোষ হবে। তিনি বলেন, এটা আদালত দিয়েছেন। বেশি কিছু তো দেওয়ার নেই, একজন মেইড সার্ভেন্ট দিয়েছে। যদি আরও কিছু ডিমান্ড করে। এসময় খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে আর্ন্তজাতিক অঙ্গন থেকে কোনো টেলিফোন পাননি বলে জানান তিনি।

কৃষকের কথা বলেছি, দারিদ্র্য বিমোচনের কথা বলেছি : প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, মিয়ানমার নানা টালবাহানা করেছে। তারা আট হাজার নিতে বলেছে এখন, আমরা বলছি আট হাজার আগে নিক। তারপর আমরা দেখব, তারা এদের সঙ্গে কী ব্যবহার করে। তিনি বলেন, নেওয়ার আগে রোহিঙ্গাদের থাকার জন্য ভাসানচরে ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। প্রথমে এক লাখ মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হবে।

খালেদা জিয়ার রায় এবং বিএনপির গঠনতন্ত্র সংশোধন নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, কোর্ট রায় দিয়েছে, আমাদের কিছু করার নেই। এরপরও দোষ আসে আমাদের ওপর। বিএনপিতে সব ক্ষমতা চেয়ারম্যানের হাতে, আমাদের গঠনতন্ত্রে তা নেই।
তিনি বলেন, চেয়ারম্যান না থাকলে এক নম্বর ভারপ্রাপ্ত ভাইস চেয়ারম্যান হবেন চেয়ারম্যান। কিন্তু তিনিও আবার ফেরারি আসামি। আমার প্রশ্ন বিএনপিতে কি এমন কোনো নেই, যাকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান করা যেত।

আপনাদের এত আশঙ্কা কেন, সাংবাদিকদের প্রধানমন্ত্রী

ডিজিটাল নিরাপত্তা নিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। কেউ কোনো কিছু না করলে অপপ্রয়োগ হবে কেন।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সএবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু

সারাবাংলা/এইচএ/একে/জেডএফ/এটি

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

কোস্ট গার্ডের নতুন ডিজি জিয়াউল হক
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:৩২

সম্পর্কিত খবর