Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাশিয়ার ‘সংহতি’, চীনের ‘সংযম’, তবে ইরান চায় ‘প্রতিশোধ’


৩ জানুয়ারি ২০২০ ১৮:৩৭

মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক তিক্ততার চূড়ান্তে পৌঁছেছে। দুদেশের এই যুদ্ধাবস্থায় অপর বিশ্বশক্তি চীন ও রাশিয়া ইরানের প্রতি ‘সংহতি’ জানিয়ে উভয়পক্ষকে  ‘সংযম’ দেখাতে বলেছে। তবে ইরান জানিয়েছে হামলার কারণে যুক্তরাষ্ট্রকে চড়া মূল্য গুনতে হবে।

শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ডেইলি মেইলের খবরে এসব তথ্য জানানো হয়।

ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি বলেই ভাবা হতো। যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যা করায় উদ্বেগ জানিয়েছে রাশিয়া।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার মতো এমন ‘হঠকারী’ সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে।

ইরানের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাশিয়া আরও উল্লেখ করে, একনিষ্ঠভাবে সোলাইমানি ইরানের স্বার্থরক্ষায় কাজ করেছেন। ইরানের জনগণের প্রতি আমাদের সমবেদনা জানাচ্ছি।

এদিকে যেকোনো আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বলপ্রয়োগে বিরোধিতার কথা জানিয়েছে চীন। চীন বিবৃতিতে বলে, আমরা উভয়পক্ষ বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রকে সংযত থাকার আহ্বান জানাই। এছাড়া ইরাকের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোরও বিষয়টি উল্লেখ করে চীন।

আরও পড়ুন:- হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের ইরাক ছাড়ার নির্দেশ

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে কড়া প্রতিশোধের মুখে পড়তে হবে। শত্রু-মিত্র নির্বিশেষে সকলেই জানেন প্রতিরোধের পথে থামবার কোনো সুযোগ নেই। মুজাহিদদের জন্য অপেক্ষা করছে চূড়ান্ত বিজয়।

বিজ্ঞাপন

শীর্ষ এই সামরিকে কর্মকর্তার মৃত্যুতে ইরানে ইতোমধ্যে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এর আগেও কয়েকবার গুপ্তহামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল। ইরাক-সিরিয়ায় মার্কিন সেনা ও বেসামরিক লোকদের হত্যায় কাসেম সোলাইমানির ইন্ধন রয়েছে বলে ইতোপূর্বে  জানিয়েছে ওয়াশিংটন। তবে এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরাসরি নির্দেশে তাকে হত্যার কথা নিশ্চিত করে প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন।

শুক্রবার বাগদাদের এয়ারপোর্ট এলাকায় ড্রোন থেকে গাড়িতে মিসাইল হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানি, ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসসহ ৫ জনকে হত্যা করা হয়। সিরিয়া থেকে ইরাকে এসেছিলেন কাসেম সোলাইমানি।

মার্কিন হামলার পর, ইরানের পক্ষ থেকে পাল্টা আক্রমণের আশঙ্কায় ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বাগদাদ দূতাবাস মার্কিন নাগরিকদের ইরাক ত্যাগ করতে বলেছে। ইরাকে এখনো প্রায় ৫ হাজার মার্কিন সেনা নিয়োজিত রয়েছে।

ইরাক ইরান চীন জেনারেল কাসেম সোলাইমানি টপ নিউজ যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়া

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

দু’দিনে ভারতে ৯৯ টন ইলিশ রফতানি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৭:৩৪

সম্পর্কিত খবর