সোলাইমানি হত্যা: ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইরান
৩ জানুয়ারি ২০২০ ২২:৪০
যুক্তরাষ্ট্রের মিসাইল হামলায় জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুতে বিক্ষোভে উত্তাল ইরানের রাজপথ। ইরানের জনগণ কাসেম সোলাইমানিকে শহিদ আখ্যা দিয়েছেন। তারা হত্যার প্রতিশোধ দাবি করছেন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) জু’মার নামাজের পর ইরানের রাজধানী তেহরানে মুসল্লিরা বিক্ষোভ করেন। তাদের হাতে ছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলবিরোধী প্ল্যাকার্ড। খবর বিবিসির।
এছাড়া টেলিভিশনগুলোতে আয়োজন করা হয়েছে টক শো’র। ইরানের বিভিন্ন অঙ্গনের ব্যক্তিত্বরা মার্কিনিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন। সোলাইমানির বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ প্রচারিত হচ্ছে বারবার।
রামেজান শরীফ নামে রেভল্যুশনারি গার্ডসের এক মুখপাত্রকে টিভির সামনে কাঁদতে দেখা যায়। তিনি বলেন, ইসরায়েল ও আমেরিকার এই উল্লাস খুব বেশিদিন রইবে না।
ইরানের রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস্ ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুতে ইরানে ইতোমধ্যে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল এর আগেও কয়েকবার গুপ্তহামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার নীলনকশা এঁকেছিল। ইরাক-সিরিয়ায় মার্কিন সেনা ও বেসামরিক লোকদের হত্যায় কাসেম সোলাইমানির ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ ওয়াশিংটনের। তবে এবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সরাসরি নির্দেশে তাকে হত্যার কথা নিশ্চিত করে প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগন।
শুক্রবার বাগদাদের এয়ারপোর্ট এলাকায় ড্রোন থেকে গাড়িতে মিসাইল হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানি, ইরাকি মিলিশিয়া কমান্ডার আবু মাহাদি আল-মুহান্দিসসহ অন্তত ৫ জনকে হত্যা করা হয়। সিরিয়া থেকে ইরাকে এসেছিলেন কাসেম সোলাইমানি।
আরও পড়ুন:-
হামলার আশঙ্কায় মার্কিন নাগরিকদের ইরাক ছাড়ার নির্দেশ
রাশিয়ার ‘সংহতি’, চীনের ‘সংযম’, তবে ইরান চায় ‘প্রতিশোধ’
যুদ্ধের আশঙ্কা ইরাকের, কুদস্ ফোর্সের নতুন কমান্ডার ইসমাইল কোয়ানি
সোলাইমানি হত্যা: ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে ইরান