ক্যাসিনো কাণ্ডে ৩ জনকে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
৫ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:০৩
ঢাকা: জি কে শামীমসহ বিভিন্ন কাজের ঠিকাদারদের সঙ্গে যুক্ত থেকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তারা হলেন, গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মঈনুল ইসলাম, পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ঠিকাদার মিনারুল চাকলাদার ও কক্সবাজারের চকরিয়ার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম।
রোববার (৫ জানুয়ারি) দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্ব একটি টিম তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর তলব করে চিঠি পাঠায় দুদক। সেই নোটিশে বলা হয়, ‘ঠিকাদার জি কে শামীমসহ অন্যান্য ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারী কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।’
উল্লেখ্য, ক্যাসিনো অভিযান শুরু হলে কমিশন গণমাধ্যমে আসা বিভিন্ন ব্যক্তির নাম যাচাই-বাছাই করে একটি প্রাথমিক তালিকা তৈরি করে। পাশাপাশি র্যাব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধানেরা দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে। সেসব তথ্যও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এ পর্যন্ত ১৯টি মামলা করেছে দুদক।
এসব মামলা করা হয়েছে, ঠিকাদার জি কে শামীম, বহিষ্কৃতযুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলহক ও তার ভাই রূপন ভূঁইয়া,অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান, কলাবাগান ক্লাবের সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ, এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, যুবলীগের দফতর সম্পাদক আনিসুর রহমান ও তার স্ত্রী সুমি রহমান, কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান, তারেকুজ্জামান রাজীব, যুবলীগের সাবেক নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, এনামুল হক আরমান, জাকির হোসেন ও তার স্ত্রী আয়েশা আক্তার সুমা, গণপূর্তের সিনিয়র সহকারী শাখা প্রধান মুমিতুর রহমান ও তার স্ত্রী জেসমিন আক্তারসহ অনেকে।