Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আলোর অবয়বে মুজিব এলেন ফিরে


১০ জানুয়ারি ২০২০ ১৬:৫৫

ঢাকা: রানওয়েতে এসে দাঁড়ালো সি-১৩০ জে মডেলের একটি বিমান। আলোর অবয়বে নেমে এলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। প্রতীকী এই আয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে বরণ করতে এগিয়ে যান নব প্রজন্মের ১৫০ শিক্ষার্থী।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) তেজগাঁওয়ে পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে সেই দিনটিকে লেজার শো এর মাধ্যমে স্মরণ করা হয়। স্মৃতির মণিকোঠায় ভেসে ওঠে ১৯৭২ সালের সেই দিন। বঙ্গবন্ধু বিমানের দরজায় হাত নাড়িয়ে অপেক্ষারতদের অভিবাদন জানান। এরপর লেজার আলোয় ফুটে ওঠা বঙ্গবন্ধু বিমানের সিঁড়ি বেয়ে লালগালিচায় নেমে আসেন।

এ সময় সেনাবাহিনীর একটি দল ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে বরণ করে নেন।

এর আগে এদিন বিমান থেকে বঙ্গবন্ধুর নামার দৃশ্যটি দেখতে আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য বিমানবন্দর চত্বরের একপাশে বসার ব্যবস্থাও করা হয়। সাধারণ গ্যালারিতে বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মী ছিলেন। অন্যদিকে বিশিষ্টজনদের জন্য আলাদা গ্যালারিতে বসার ব্যবস্থা করা হয়।

জাতির পিতার শারীরিক উপস্থিতি না থাকলেও লেজার লাইটের মাধ্যমে তার অবয়ব বিমানের দরজায় ফুটিয়ে তোলা হয়। বঙ্গবন্ধুর অবয়বের আলোটি ধীরে ধীরে সিঁড়ি দিয়ে নেমে লাল গালিচার মাথায় এসে থামে যাবে। এই আলোকে স্বাগত জানায় নবপ্রজন্মের ১৫০ শিক্ষার্থীর প্রতিনিধি দল।

আগামী ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী। এ উপলক্ষে ২০২০-২১ সালকে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে সরকার। ১৭ মার্চ বর্ণাঢ্য উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বছরব্যাপী উদযাপন। মুজিববর্ষ উদযাপন মহাপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার অনুষ্ঠেয় ক্ষণগণনা কর্মসূচি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

কর্মসূচির মধ্যে ছিল শুক্রবার তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে ক্ষণগণনা উদ্বোধন ও মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন। বিকেল ৩টায় শুরু হবে অতিথিদের আগমন। সাড়ে চারটায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানস্থলে আসেন।

বিকেল ৪টা ৩৫মিনিটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী বিমান (সি-১৩০জে) অবতরণ করে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে। ৪টা ৪৫ মিনিটে বিমানটি ট্যাক্সি করে টারমাক এলাকায় পৌঁছানোর পর দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ২১বার তোপধ্বনি করা হয়। ৪টা ৫০মিনিটে বিমানের দরজা খোলা হলে ১৫০ শিক্ষার্থীর একটি দল স্বাগত জানায়।

এরপর ৫টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচন ও ক্ষণগণনা উদ্বোধন করবেন।

mujib 100

mujib 100

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও প্রধান সমন্বয়ক প্রধানমন্ত্রীর হাতে মুজিবর্ষের লোগো তুলে দেওয়া হয়। লোগো উন্মোচনের পর প্রধানমন্ত্রী সুইচ টিপে ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন যা সারাদেশে একযোগে চালু হয়।

মুজিববর্ষের কাউন্টডাউন বা ক্ষণগণনার জন্য সারাদেশে ১২টি সিটি করপোরেশনের ২৮টি পয়েন্টে, বিভাগীয় শহর, ৫৩ জেলা ও দুই উপজেলা এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট ৮৩টি পয়েন্টে কাউন্টডাউন ঘড়ি বসানো হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপনে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ১০২ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’। এ কমিটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্যদিকে জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামকে সভাপতি ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে প্রধান সমন্বয়কারী করে গঠন করা হয়েছে ৬১ সদস্যবিশিষ্ট ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’।

বিজ্ঞাপন

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে যান বঙ্গবন্ধু। সেখান থেকে ভারতে স্বল্প সময়ের যাত্রাবিরতি দিয়ে ১০ জানুয়ারি দুপুরে তিনি তৎকালীন তেজগাঁও বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকে আরো স্মরণীয় করতে ১০ জানুয়ারিই শুরু হবে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা। জন্মশতবার্ষিকীর মূল আয়োজন শুরু হবে ১৭ মার্চ।

টপ নিউজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বদেশ প্রত্যাবর্তন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর