ঢাকা: ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত ও নারীর জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চার দফা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে কুর্মিটোলা অভিমুখে ধর্ষণবিরোধী ‘গণপদযাত্রা’ কর্মসূচি পালন করেছে যৌন নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী জোট।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়।
পদযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ থেকে যৌন নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষার্থী জোটের আহ্বায়ক শিবলী হাসান চার দফা দাবি পেশ করেন।
চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে ৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষকের বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হবে, কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পুলিশি নিরাপত্তা ও সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে, কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলাকায় মাদকসহ সকল অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করতে হবে এবং নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি পুরো ঢাকা শহর সিসিটিভির আওতায় আনতে হবে।
এছাড়াও আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কিছু এলাকায় ধর্ষণবিরোধী ক্যাম্পেইন ‘জাগো মানুষ, জাগো বহ্নিশিখা’ চালানো হবে বলে জানান শিবলী হাসান।
এই ক্যাম্পেইন আগামী ২ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় চালানো হবে। এ সময় কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘আমাদের রাষ্ট্রের যে অবস্থা, তাতে যদি লাগাতার আন্দোলন না হয়, তাহলে আজকে ন্যায় বিচার পাওয়া মুশকিল। ধর্ষণের মতো হৃদয়বিদারক বিষয়ে আজকে আমরা দেখছি, রাজপথের আন্দোলন ছাড়া ন্যায়বিচার পাওয়া যায় না। কাজেই এ আন্দোলনকে অব্যাহত রাখতে আজকে আমাদের ধর্ষণ বিরোধী এই গণপদযাত্রা।’
এ সময় তিনি ধর্ষণের শাস্তি আইন সংশোধনের দাবি জানিয়ে বলেন, ‘আইনের ফাঁক-ফোকরে ধর্ষকরা পার পেয়ে যাচ্ছ। কাজে আইনের যে ফাঁক ফোকর আছে, তা সংশোধন করা জরুরি। দ্বিতীয়ত আইন আছে, কিন্তু আইনের বাস্তবায়ন নেই। কাজেই আইনের বাস্তবায়ন আরেকটা জরুরি বিষয়।’
এ সময় কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল সংসদের ভিপি সুস্মিতা দে, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের (বিসিএল) সাজাহান সাজু, শেরে বাংলা বালিকা মহবিদ্যালয়ের শিক্ষক ফাহমিদা বিনতে হামিদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা অপরাজিতা সংগীতা, সামাজিক সংগঠন ইউথ ফর চেঞ্জের প্রতিনিধি আফসানা আহমেদসহ শতাধিক শিক্ষার্থী।