খেলাপিঋণ তেমন কোনো সমস্যা নয়: ডিসিসিআই সভাপতি
২০ জানুয়ারি ২০২০ ২০:৪২
ঢাকা: ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি শামস মাহমুদ বলেছেন, অনেকে ঋণ নিয়ে কারখানা স্থাপন করে। কিন্ত গ্যাস-বিদ্যুতের সমস্যার কারণে সঠিক সময়ে উৎপাদনে যেতে পারে না। এতে করে ঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে পারে না। জাপান, ভারতসহ অনেক দেশে নন পারফরমিং লোন (খেলাপি ঋণ) বেশি রয়েছে। ফলে এটি তেমন কোনো সমস্যা নয়।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। দেশের অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২০ সালের বার্ষিক কর্ম-পরিকল্পনা জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিসিসিআই।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘সরকার ব্যাংক ঋণ নিচ্ছে দেশের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য। অবকাঠামো উন্নয়ন হলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে। এতে বেসরকারি খাতে তেমন প্রভাব পড়বে না। কারণ বিদেশে বেসরকারি খাতের ঋণ নেওয়ার অনেক সুযোগ রয়েছে।’
বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার অস্বাভাবিক হারে যে ঋণ নিচ্ছে তা বেসরকারি খাতর ঋণ প্রবাহের জন্য কোনো সমস্যা হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরে দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য ১১টি খাতকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেয়ার কথা জানান ডিসিসিআই সভাপতি। এর মধ্যে রয়েছে রফতানি বহুমুখীকরণ, জনশক্তি উন্নয়ন, অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য কূটনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানো, পুঁজিবাজার পুনর্গঠন, জ্বালানি নিরাপত্তা, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব, ইজ অব ডুইং বিজনেস অগ্রগতি, গবেষণা ও উন্নয়ন, অবকাঠামো ও এসএমই খাতে জোর দেওয়া।
রফতানি বহুমুখীকরণ প্রসঙ্গে ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, তৈরি পোশাক আমাদের রফতানি আয়ের প্রধান খাত হলেও অন্যান্য খাতে উন্নতি করতে হবে। এছাড়া সম্ভাবনাময় খাত সমূহের উন্নয়নে তৈরি পোশাক খাতের মতো বন্ডেড ওয়্যারহাউজ সুবিধা, ব্যাক টু ব্যাক এলসি, কর অবকাশ সুবধিা প্রদান ও নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দিতে হবে।’
পূঁজিবাজার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের একটি শক্তিশালী সেকেন্ডারি বন্ড মার্কেট থাকা জরুরি। পূঁজিবাজার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন, তা প্রশংসার দাবি রাখে। পূঁজিবাজারে কোম্পানি বাই-ব্যাক ব্যবস্থা রাখতে হবে এবং সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।’
ভ্যাটে রিবেট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে যারা ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দিচ্ছেন তারা রিবেট পেয়ে থাকে। তবে অন্যান্য স্ল্যাব- ৫, ৭, ৭.৫ এবং ১০ শতাংশের উপরও রিবেট দেওয়া দরকার।’
অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি এন কে এ মবিন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ বাশিরউদ্দিন, পরিচালক আরমান হক, আশরাফ আহমেদ, দীন মোহাম্মদ, এনামুল হক পাটোয়ারী, ইঞ্জিনিয়ার মো. আল আমিন, মো. রাশেদুল করিম মুন্না প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।