সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে: সিইসি
২৭ জানুয়ারি ২০২০ ১৯:৪৮
ঢাকা: ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নির্বাচন ভবনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
দুই দলের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, দুই দলের অভিযোগ কমন, এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে। বিএনপি বলেছে, তাদের প্রার্থীদের পুলিশ হয়রানি করছে। তবে সে রকম হয়রানির কোনো আলামত আমরা দেখিনি।
আরও পড়ুন- বিএনপি আচরণবিধি মানলেও আওয়ামী লীগ মানছে না: আমির খসরু
সিইসি বলেন, বিএনপির প্রতিনিধিরা আরও বলেছেন, গোপীবাগের ঘটনায় তাদের মামলা নেয়নি। পরে আমি থানার ওসির সঙ্গে কথা বলেছি সেখানে বসেই। ওসি বললেন, তারা আমাদের কাছে আসেনি, মামলাও দেয়নি। আওয়ামী লীগ মামলা করেছে, সেটাও তারা বলেছে। ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে মামলা তো যেকোনো সংক্ষুদ্ধ ব্যক্তিই করতেই পারেন। সেটা আইনি বিষয়।
সিইসি বলেন, আওয়ামী লীগ গতকালের (রোববার) ঘটনার জন্য বিএনপিকে দায়ী করেছে। তাদের বক্তব্য, এ সুযোগে বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী দল ঢাকায় ঢুকে পড়বে এবং নির্বাচনের সময় নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে, আমরা যেন ব্যবস্থা নেই। আমরা বলেছি, যদি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ থাকে, সেটা বলতে হবে। আর ক্রিমিনাল অফেন্স থাকলে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিকে আইনি সহায়তা নিতে হবে।
নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে কে এম নুরুল হুদা বলেন, অবশ্যই এ ধরনের ঘটনা নির্বাচনের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এগুলো না ঘটানোই উচিত। আমরা সবসময়ই বলি, এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না। আমরা সবসময়ই বলি, যেন তারা সহনশীলতার সঙ্গে কাজ করে। আমি বিশ্বাস করি তারা সহনশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেও। দু’টো ঘটনা ঘটেছে— তাতে নির্বাচন বানচাল হওয়া, ব্যাহত হওয়া বা বিনষ্ট হওয়ার কোনো কারণ ঘটেনি।
আরও পড়ুন- গোপীবাগে হামলা ‘সাজানো’, ইসিকে ‘তথ্য-প্রমাণ’ দিয়েছে আ.লীগ
একই ঘটনায় দুই দলের বিপরীতমুখী অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কী মনে করছে— এমন প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ক্রিমিনাল অফেন্সের বিষয়ে তো আমরা কিছু বলতে পারি না। তবে স্থানীয়ভাবে আমরা তদন্ত করতে পারি, সেটি করতে একটু সময় লাগে। রিটার্নিং অফিসার, ওসি ও ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ করেছি, প্রতিবেদন এখন পর্যন্ত আসেনি। প্রতিবেদনে কোনো প্রার্থীকে জড়িত পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ইসি নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আর অন্য কেউ জড়িত থাকলে সেটা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দেখবে।
ভোটের দিন আইনশৃঙ্খলা অবনতির আশঙ্কা নেই বলেও জানান সিইসি। বহিরাগতদের ঢাকায় অবস্থান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, আমাদের কাছে তারা (আওয়ামী লীগ) অভিযোগ করেছে, বহিরাগতরা এসেছে। আমাদের তো পুলিশের প্রতি নির্দেশনা আছে যে বহিরাগত কেউ যেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে না পারে। সে বিষয়ে তো নিশ্চয় তারা সতর্ক থাকবে।
ফুটপাতে আওয়ামী লীগের শতাধিক অস্থায়ী নির্বাচনি ক্যাম্প রয়েছে— বিএনপির এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ওটা আমরা উঠিয়ে দেবো। ফুটপাতের ওপর আওয়ামী লীগের ১০০টি ক্যাম্প যে আছে— এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই। কোথাও থাকতে পারে। রাস্তার ওপর কোনো ক্যাম্প থাকলে সেটা আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের তুলে দিতে বলেছি।