২১ ফেব্রুয়ারি বসবে ২৫তম স্প্যান
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১২:৫৫
ঢাকা: আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি ২৯ ও ৩০ নম্বর খুঁটিতে বসানো হবে পদ্মাসেতুর ২৫ তম স্প্যান। ওই দিন সকালেই মাওয়া প্রান্ত থেকে স্প্যান নিয়ে বসানোর প্রক্রিয়া দিনে দিনেই শেষ করা হবে।
সেতু নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি জানায়, সেতুর ২৫ তম স্প্যান তিয়ানহো ক্রেনের সামনে রাখা হয়েছে। স্প্যানটি ক্রেনে তুলে নদীর চ্যানেল ধরে নিয়ে যাওয়া হবে। এ সময় শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি চ্যানেলটি সাময়িক বন্ধ থাকবে।
এদিকে, ২৫ তম স্প্যান বসানোর পর আর বাকি থাকবে ১৬টি স্প্যান বসানোর কাজ।
এদিকে, বাকি থাকা সেতুর চারটি পিলারের কাজের অগ্রগতি হয়েছে। সবশেষ ড্রাইভিং হওয়া ২৬ নম্বর খুঁটির কাজ এপ্রিলেই শেষ হবে।
৪২টি খুঁটির মধ্যে বাকি রয়েছে ১০, ১১, ২৬, ২৭ নম্বর খুঁটি (পিলার)। চলতি মাসে ১০ এবং ১১ নম্বর পিলারের কাজ শেষ হবে। ৮ নম্বর খুঁটির কাজ শেষে এখন ক্যাপ ঢালাই চলছে। সিঙ্গেল ক্যাপ বসেছে এই ৮ নম্বরে। সেতুর ৭, ১৩, ১৯, ২৫, ৩১ ও ৩৭ নম্বর খুঁটি ছাড়া বাকি সবগুলোই সিঙ্গেল ক্যাপে।
১৩ নম্বর খুঁটি থেকে ১৯ নম্বর খুঁটিতে বসে গেছে ৬ টি স্প্যান। আর জাজিরা প্রান্তে ৪২ নম্বর খুঁটি থেকে ৩৮ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত রোড ওয়ে স্ল্যাব বসানো হয়েছে। এ প্রান্তে ৩০ থেকে ৪২ নম্বর খুঁটি পর্যন্ত একাধারে ১২টি স্প্যান বসানোর পর ১৮০০ মিটার দৃশ্যমান হয়েছে। সব মিলিয়ে এখন পদ্মাসেতুর ২৪টি স্প্যানে ৩৬০০ মিটার দৃশ্যমান।
এদিকে, জাজিরা প্রান্তে ২৬ ও ২৭ নম্বর পিলারের কাজ বাকি আছে। আর মাওয়া প্রান্তে ৬, ৭, ৮, ৯ এই চারটি পিলারের কাজ শেষ। বাকি রয়েছে ১০ ও ১১ নম্বর। চলতি মাসে ১১ নম্বর পিলারে ক্যাপ বসবে। এরপর আগামী মাসে ১০ নম্বর পিলারে ক্যাপ বসানো হবে।
মাওয়া প্রান্তে ১৩ থেকে ১৯ নম্বর পিলারে রোডওয়ে ও রেলওয়ে স্লাব বসানো চলছে।
৪২টি খুঁটি ও ৪১টি স্প্যানে গড়ে তোলা হচ্ছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু। পদ্মাসেতুর কাজ বাকি বলতে এখন ১৬ টি স্প্যান এবং চারটি খুঁটি। এছাড়া উপরে রোড ওয়ে স্ল্যাব নিচে রেলপথ সমানতালে এগোচ্ছে। লক্ষ্য আগামী বছরের জুনে সেতু চালু করা। সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য, এপ্রিলেই শেষ হবে বাকি পিলারের কাজ আর জুলাই মাসে শেষ হবে সবগুলো স্প্যান বসানোর কাজ। তখনই দেখা যাবে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার লম্বা পুরোপুরি পদ্মাসেতু। যার একদিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া অন্যদিকে শরীয়তপুরের জাজিরা। মাঝখানে কয়েকটি খুঁটি মাদারীপুর জেলার মধ্যে পড়েছে।