ঢামেকে কর্মচারী বিক্ষোভ, ২ ঘণ্টা বন্ধ প্রশাসনিক কার্যক্রম
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:০০
ঢাকা: আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিয়োগ বন্ধ, শূন্য পদে নিয়োগ ও পদোন্নতিসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি সমন্বয় পরিষদ। এ সময় দুই ঘণ্টা বন্ধ থাকে প্রশাসনিক কার্যক্রম।
বৃহস্পতিবার (২০ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তারা এই কর্মসূচি পালন করে। এদিন সকাল ১০টা থেকে প্রশাসনিক ব্লকে জড়ো হতে থকে কর্মচারীরা। এ সময় পরিচালকের কক্ষসহ সব কর্মকর্তা ও অফিসের কক্ষ বন্ধ হয়ে যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মো. আবু সাঈদ মিয়া। তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে জনবল নিয়োগ বন্ধ করতে হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির সব পদে রাজস্ব খাতে নিয়োগ দিতে হবে। ডিপিসির মাধ্যমে পদন্নতি যোগ্য শূন্যপদে দ্রুত পদোন্নতি দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পরিচালকের সঙ্গে বারবার আলোচনার জন্য বসতে চেয়েছি। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা করেননি। বরং গত ৫ফেব্রুয়ারি বেশকিছু দৈনিক পত্রিকায় আউটসোর্সিংয়ের এর মাধ্যমে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।’
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারিও বিক্ষোভ হয়। সেখান থেকে ঘোষণা দেওয়া হয় যে, ২০ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। এবং আগামী ২৩ থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি তিনদিন ঢাকা মহানগরের সব সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করা হবে।
এ সময়ের মধ্যে দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। কর্মচারী সমিতি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আবু সাঈদ বলেন, ‘কতৃপক্ষ আমাদের শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। এটা আমাদের রুটি রুজির ব্যাপার। আমরা শুধু আশ্বাসের বাণী শুনি। কিন্তু কোনো কাজ হয় না। চলমান প্রক্রিয়া যদি বহাল থাকে, তাহলে যারা এ প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তাদের দায়ী থাকতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণির সরকারি কর্মচারী কেন্দ্রীয় সমিতির সভাপতি এম এ হান্নান, তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির সভাপতি এস এম আব্দুর রব, সাধারাণ সস্পাদক মো. মজিবুর রহমান খান ও বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ঢাকা মেডিকেল শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল প্রমুখ।
এদিকে কর্মচারীদের বিক্ষোভের বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।