শিশু রুশদি আর মায়ের পর বাবা রনিও না ফেরার দেশে
২ মার্চ ২০২০ ০৯:১৯
ঢাকা: রাজধানীর দিলু রোডে নিজেদের বাসার নিচতলায় লাগা আগুনে শিশু রুশদি আগেই চলে গিয়েছিল না ফেরার দেশে। তার পথ ধরে রোববার (১ মার্চ) গেছেন মা জান্নাতুল ফেরদৌসী জান্নাত। সোমবার (২ মার্চ) চলে গেলেন বাবা শহীদুল কিরমানী রনিও।
সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় শহীদুল কিরমানীর (৪০)।
ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শহীদুল কিরমানী রনির শরীরের ৪৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিলো। সোমবার ভোরে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আর রনির মৃত্যুর মধ্য দিয়ে ছোট্ট শিশু রুশদির ছোট্ট পরিবারটির আর কেউ বেঁচে রইলেন না।
রনির গ্রামের বাড়ি নরসিংদি জেলার শিবপুর উপজেলায়। তার বাবার নাম একেএম শহীদুল্লাহ। বিআইভিপি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ছিলেন তিনি। পাশাপাশি আইসিএমএ নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রভাষক হিসেবেও কাজ করতেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে দিলু রোডের ওই বাড়িটির নিচতলার গ্যারেজে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।
দিলু রোডের ভবনে ছিল না অগ্নিনির্বাপণ, লেলিহান শিখা বাড়ায় গোডাউন
আগুনে ঘটনাস্থলেই মারা যায় জান্নাত-রনির একমাত্র সন্তান একেএম রুশদি (৪)। এছাড়া মারা যায় ভবনের পাঁচতলার বাসিন্দা এইচএসসি পরীক্ষার্থী আফরিন জাহান যুথী (১৭) ও ভবনের নিচতলায় বসবাসরত বায়িংহাউজের অফিস সহকারী আব্দুল কাদের লিটন (৪০)। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রুশদির মা জান্নাত ও বানা রনি। সব মিলিয়ে এই আগুনে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচজন।
এ ঘটনায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি আছেন তিনজন। এরা হলেন সুমাইয়া আক্তার (৩২), তার ছেলে মাহাদী (৯), মাহমুদুল হাসান (৯ মাস)।