কাতারের সব ফ্লাইট বাতিল, কমলো ১০ রুটের ৭৪ ফ্লাইট
৯ মার্চ ২০২০ ১৯:০৯
ঢাকা: করোনাভাইরাসের কারণে ১০টি আন্তর্জাতিক রুটের ৭৪টি ফ্লাইট কমালো বাংলাদেশ বিমান। একইসঙ্গে কাতার সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে সেখানকার সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
সোমবার (৯ মার্চ) বিকেলে বাংলাদেশ বিমানের একটি সূত্র সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
সূত্রটি জানায়, করোনা ভাইরাসের কারণে ১০টি আন্তর্জাতিক রুটে সপ্তাহে ৭৪টি ফ্লাইট কমিয়েছে বাংলাদেশ বিমান। ১০টি আন্তর্জাতিক রুটের মধ্যে রয়েছে কুয়ালালামপুর, কাঠমান্ডু, কলকাতা, দিল্লি, ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, দোহা, জেদ্দা, মদিনা ও কুয়েত। সপ্তাহে এসব দেশে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট ছিলো ১৪২টি। সেটি কমিয়ে ৬৮টি করা হয়েছে।
এদিকে, সোমবার বাংলাদেশ বিমান একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে, এরইমধ্যে কাতার সরকারের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত দোহাগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, যেসব যাত্রী বাংলাদেশ বিমানে ভ্রমণের জন্য টিকিট কিনেছেন চাইলে তারা রিফান্ড নিতে পারবেন। অথবা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর সিট খালি থাকলে সেসব ফ্লাইটে পুনরায় আসন বরাদ্দ পাবেন।
অন্যদিকে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট কোভিড-১৯ রোগে সোমবার (৯ মার্চ) পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখ দশ হাজার ৪১ জন। এরইমধ্যেই করোনাভাইরাস আক্রান্ত ৬১ হাজার ৯৭৯ জন সেরে উঠে নিয়মিত জীবনে ফিরে গেছেন। সেই হিসেবে কোভিড-১৯ আক্রান্ত অর্ধেকের বেশি রোগী সেরে ওঠার খবর জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন আপডেটের বরাতে জানিয়েছে নিউইয়র্ক পোস্ট।
এদিকে, করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশ ও মেইনল্যান্ডে এরইমধ্যেই সেরে উঠেছেন ৪৬ হাজার ৪৩৩ জন। ইরানে আক্রান্তদের মধ্যে সেরে উঠেছেন ২ হাজার ১৩৪ জন। ইতালিতে সেরে উঠেছেন ৬২২ জন। জাপানে ৭৬ জন, হংকংয়ে ৫৯ জন, থাইল্যান্ডে ৩১ জন, মালয়েশিয়ায় ২৪ জন, জার্মানিতে ১৮ জন, যুক্তরাজ্যে ১৮ জন, ভিয়েতনামে ১৬ জন, তাইওয়ানে ১৫ জন, মিশরে ১২ জন, ম্যাকাওয়ে ১০ জন, অস্ট্রেলিয়ায় ১৯ জন, ফ্রান্সে ১২ জন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ জন, বাহরাইনে ৪ জন, ভারতে ৩ জন, রোমানিয়ায় ৩ জন, কানাডায় ৭জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত সেরে উঠেছেন।
এদিকে, ৮ মার্চ বাংলাদেশ ১০৪তম দেশ হিসেবে করোনাভাইরাস আক্রান্তের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।
তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেলেও এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা। তিনি সবাইকে সচেতন হওয়ার জন্য এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন
করোনা সংক্রমিত দেশগুলোর সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পরিবর্তন আনুন জীবনযাপনে
করোনাভাইরাসের প্রভাব, পুঁজিবাজারে বড় দরপতন চলছে
করোনাভাইরাস: মাস্কের চাহিদা আকাশচুম্বী, প্রয়োজন কতটুকু?
করোনাভাইরাস সম্পর্কে যা কিছু জানা প্রয়োজন
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে যা কিছু করণীয়